‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’ পানের চাহিদা বর্তমান দিনে ক্রমশ বেড়েই চলেছে।নবীন থেকে প্রবীণ সবাই ‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’ এর প্রতি অত্যন্ত আকর্ষিত হন।তবে এই ‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’ পান আপনাদের শরীরে কত ক্ষতিকারক তা আপনাদের কল্পনারও বাইরে।সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে কীভাবে ১০ মিনিট থেকে শুরু করে ১ ঘণ্টার মধ্যে ‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’-এর বিষ শরীরকে গ্রাস করে।
‘কোল্ড ড্রিঙ্ক‘-পানের পর প্রথম ১০ মিনিট–
কোল্ড ড্রিঙ্কে থাকে নানান ধরনের উপাদান যার মধ্যে একটি হল শর্করা। কোল্ড ড্রিঙ্কে রয়েছেaaaa প্রচুর পরিমাণে শর্করা।আপনারা কি জানেন ১ কাপ ‘কোল্ড ড্রিঙ্কে’ কত পরিমানে শর্করা থাকে? ১ কাপ ‘কোল্ড ড্রিঙ্কে’ কম করেও ১০ চামচ শর্করা থাকে। যা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।এছাড়াও একটি গবেষণায় দাবি করেছেন যে ‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’ পানের ১০ মিনিটের মধ্যেই এই শর্করা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে হাড়ের মধ্যে থাকা ফসফরাসের জীবনশক্তি কমে আসে।
‘কোল্ড ড্রিঙ্ক‘ পানের পর ২০ মিনিটের মধ্যে শরীরে যা হয়–
‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’ যে আমাদের শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক তা হয়ত অনেকেরই জানা নেই।’কোল্ড ড্রিঙ্ক’ আমাদের শরীরে নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে।যেমন-‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’ শরীরের মধ্যে থাকা গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন-এর মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে এর প্রভাব পড়ে লিভারে।এবং লিভারের উপর চর্বি জমতে থাকে।
৪০ মিনিটের মধ্যে শরীরে যা হয়–
এছাড়াও ‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’-এর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে।আর এই ক্যাফেইন ৪০ মিনিটের মধ্যে আমাদের শরীরে পুরোপুরি মিশে যায় যা ফলে প্রচুর পরিমানে লিভারে শর্করা তৈরি হয়ে রক্তে সাথে মিশে যায় এবং রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।আর এইসবের প্রভাব পড়ে আমাদের মস্তিষ্কে যা ফলে অ্যাডোনোসাইন হরমোনের কার্যকারিতাকে বন্ধ করে দেয়।আর এই জন্যই ক্লান্তি অনুভব করার ক্ষমতাও কমে যায়।