ভালো, খারাপ দেখেই বুঝে নিন

নিউজ ডেস্কঃ কুকুর ভালবাসে না এমন লোকের সংখ্যা খুব কমই আছে। আজ থেকে সেই প্রায় ৩০ হাজার বছর পূর্বে কুকুরকে পোষ্য প্রানী হিসেবে রাখার চল শুরু হয়। তারপর থেকেই মানুষের খুবই কাছের হয়ে গেছে এই পোষ্য। আর তা হবে নাই বা কেন, কুকুরের মত বিশ্বাসী প্রাণী খুবই বিরল। কুকুর কিন্তু ভীষণ বুদ্ধিমান ও। আপনার মন খারাপের সময় যদি দেখেন আপনার পোষ্য কুকুরটি বারবার আপনার পায়ের কাছে এসে বসছে বা কোলে উঠে আসছে তবে অবাক হবেন না। এরা কিন্ত সহজেই মনিবের মনের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারে।এরা ভীষণ সংবেদনশীল হয়।

রানি এলিজাবেথের সময় থেকে এই কুকুর দের সংবেদনশীল আচরণের জন্য এদের ‘দ্য কমফর্টার’ এর আখ্যা দেওয়া হয়। কুকুর কিন্তু ভীষণ আদুরে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হয়। আর,  বাড়ির ছোটদের সাথেও এরা খুব সহজেই মিশে যেতে পারে।

কুকুরের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে এদের ঘ্রাণ শক্তি মানুষের চেয়ে ১০ হাজার গুন বেশি।কুকুরের আর এক বিশেষ ক্ষমতা আছে। এরা খুব সহজেই মানুষের আচরণের ভিত্তিতে মানুষকে মূল্যায়ন করতে পারে এবং সেই ভিত্তিতে তারা ভালো এবং খারাপ মানুষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে।

সম্প্রতি কুকুরের আরেকটা বৈশিষ্ট্যও জানতে পারা গেছে। তা হলো মনিবের প্রতি বাকিদের আচরণ সম্পর্কে এরা বেশ স্পর্শকাতর। মনিবকে কেউ সাহায্য করতে না চাইলে , বা মনিবের কেউ ক্ষতি করলে কুকুর এক ধরনের গর্জনের মাধ্যমে সেই মানুষটির প্রতি তার বিরক্তি ও রাগ প্রকাশ করে । তারা এই মানুষদের এড়িয়ে চলে।

প্রভুভক্ত এই জীবগুলি কিন্তু সব সময় মানুষের কাছ থেকে সেই একই রকমের ভালোবাসা পায় না। আজও অনেক সময়ে রাস্তার এই অবলা জীব গুলো বিভিন্ন উপায়ে অত্যাচারিত হয়। অনেকেই কুকুর পোষে এবং পরবর্তীকালে সেই কুকুরকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। যার ফলে অনেক সময় ই সেই কুকুরগুলো মারা যায়।মনে রাখা দরকার মনিব তাদের এভাবে ফেলে রেখে গেলেও তাদের মনে কিন্তু মনিবের প্রতি ভালোবাসা কমে না।আমাদের এ ব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া উচিত তবেই আমরা তাদের প্রতি একটু কৃতজ্ঞতা জানাতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *