মাছেদের দিনে দুবার করে খাদ্য দিতে হয়।  সকাল (৬.৩০ – ৭.৩০) ৫০ গ্রাম ও বিকেল (৩.৩০- ৪.৩০)  ৫০ গ্রাম খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে

নিউজ ডেস্ক: মাছের বৃদ্ধি অনেকাংশে নির্ভর করে মাছের খাদ্যের উপর। তাই মাছের খাদ্য সঠিক পরিমানে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কতটা পরিমাণে খাবার দিতে হবে তা বুঝবেন কিভাবে? ধরুন একটি পুকুরে ২৫গ্রাম ওজনের ৫০ টি মাছ আছে। ২৫ গ্রাম ওজনের মাছের জন্য প্রতিদিন ২ গ্রাম  করে খাদ্য প্রয়োজন।  সে ক্ষেত্রে তাহলে ৫০ টি মাছের প্রতিদিন খাদ্য প্রয়োজন ৫০ X ২ গ্রাম = ১০০ গ্রাম । মাছেদের দিনে দুবার করে খাদ্য দিতে হয়।  সকাল (৬.৩০ – ৭.৩০) ৫০ গ্রাম ও বিকেল (৩.৩০- ৪.৩০)  ৫০ গ্রাম খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে।

মাছের খাদ্য দুই প্রকারের হয়।

১.প্রাকৃতিক খাদ্য

২. সম্পূরক খাদ্য

প্রাকৃতিক খাদ্য

প্রাকৃতিক ভাবে জলাশয় এর মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সবুজ উদ্ভিদ যেমন- শেওলা, ফেকাস, নষ্টক, ডায়াটম, ভলবক্স, এনাবিনা ইত্যাদি জন্মায় আর এই সমস্ত সবুজ উদ্ভিদগুলিকে  মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য বলা হয়।  জলাশয় মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানোর কারণে অনেক সময় এইসমস্ত  উদ্ভিদের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যায়।এই জন্য জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় পুকুরে। এই প্রাকৃতিক খাদ্য মাছকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে এবং মাছকে সুস্বাদু করতে সাহায্য করে। 

সম্পূরক খাদ্য

মাছেদের প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি পরিপূরক খাদ্যও দিতে হয়। পুকুরে উৎপাদিত প্রাকৃতিক খাবারের অভাব হলে মাছের দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটবে।এইজন্য মাছেদের  প্রাকৃতিক খাবারের সাথে সাথে সম্পূরক খাবার দেওয়া জরুরি।পুকুরে  মাছ ছাড়ার পরের দিন থেকে দিনে দুবার অর্থাৎ সকাল এবং বিকালে সম্পূরক খাদ্য দিতে  হয়। এই খাবার মাছের মোট শরীরের ওজনের শতকরা ৫-৬ ভাগ হারে দিতে হয়।যেমন – প্রতি ২০ কেজি মাছের জন্য কমপক্ষে ১ কেজি খাবার দেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *