১. শরীরকে রোগমুক্ত করতে সাহায্য করে:
ছাতুর রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরকে রোগমুক্ত করতে সাহায্য করে।কারন ছাতুর মধ্যে থাকা এইসব উপাদান মাত্রা দেহের ভিতরে গিয়ে বৃদ্ধি পায়।যার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। এরফলে শরীরে ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
২. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে:
ছাতুতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।কারন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে এবং প্রোটিন শরীরের ভিতরে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে সাহায্য করে।তাই ছাতু শরীর, ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৩. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:
ছাতুতে রয়েছে নানান ধরনের উপাদান যা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারি উপাদানগুলি রক্তে মিশে যায়।যা ফলে সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে।ছাতু শুধু এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তা নয় এটি সেই সঙ্গে শরীরের ভিতরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে থাকে যার ফলে সার্বিকভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর তাই ছাতু আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপাকারি।
৪. মেয়েদের শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে:
ছাতুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরের সচলতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।তাই ছাতু খাওয়া খুবই ভালো।কারন পিরিয়ডের সময় মেয়েদের শরীরে দেখা দেওয়া পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে।
৫. স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
ছাতু স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।কারন ছাতু রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।যা হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে এছাড়াও কনস্টিপেশনের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে সাহায্য করে।আবার ছাতুতে উপস্থিত ফাইবার শুধুমাত্র যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় তা নয় এটি নানা ধরনে উপকারে লাগে যেমন প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে পরিমাণ তেল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তা স্টমাক থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
৬. সুস্থ থাকতে শিশুদের খেতেই হবে:
ছাতুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেটি শরীরের যথাযত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।তাই নিয়মিত যদি শিশুদের ছাতু খাওয়ানো যায়, তাহলে দারুন উপকার পাবেন।
৭. ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারি:
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হঠাৎ করে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
সেই কারণেই ডায়াবেটিক রোগীরও ইচ্ছা হলে ছাতু খেতে পারেন। এছাড়াও ছাতুর শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।