হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে: কলার থোড়ে উপস্থিত নানান ধরনের উপাদান যা আমাদের শরীরে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।তাই থোড়ের রস শুধুমাত্র হজমে সাহায্য করে তা নয় এটি পেট পরিষ্কার রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে পেট পরিষ্কার রাখে।
কিডনিতে পাথর ও মুত্রনালীর প্রদাহের চিকিৎসায়: কলার থোড়ের শরবত বৃক্কে বা কিডনিতে পাথর জমা রোধ করতে সহায়তা করে। তাই থোড়ের শরবতের সাথে যদি এলাচ মিশিয়ে পান করা যায় তাহলে এটি মুত্রথলিকে আরাম দেয় এবং বৃক্কে পাথর জমা রোধ করে।এছাড়াও কলার থোড়ের শরবতে সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলেও বৃক্কে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। মুত্রনালীর প্রদাহজনীত ব্যথা ও অস্বস্তি দূর করতেও এই শরবত খুবই উপকারী।
ওজন কমাতে: থোড়ে উপস্থিত আঁশ যা শরীরের কোষে জমে থাকা শর্করা ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে।যার ফলে বলা যায় যে থোড় ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে এবং এতে ক্যালরির পরিমাণও বেশ কম।এছাড়াও এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করেঃথোড়ের রয়েছে নানান ধরনের উপাদান যেমন- ভিটামিন বি ৬, আয়রন এবং পটাশিয়াম ইত্যাদি।আর এইসব উপাদান অর্থাৎ ভিটামিন বি ৬, আয়রন ইত্যাদি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।এবং পটাশিয়াম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বেশ উপকারী।
অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে: বর্তমান দিনে মানুষের খাদ্যাভাসের জন্য প্রায় সব মানুষই অ্যাসিডিটির এবং গ্যাসের সমস্যায় ভুগে।তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে কলার থোড়ের শরবত খান।কারন এটি শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, বুক জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ও পেটব্যথা সারাতেও বেশ উপকারী।
ফ্যাট ঝরায়, সুগার কমায়ঃ থোড় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবারে যা ফ্যাট এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।