ভারতে নানা ধর্মের মধ্যে ঐক্য আগেও দেখা গেছে কিন্তু ওই যে বলে না হিন্দি চিনি ভাই ভাই। তবে কালক্রমে হিন্দির পরিবর্তে বাংলার নাম থাকলে ভালো হতো কারণ ট্যাংড়ায় এমনই এক সৌন্দর্যতা চোখে পড়ে যা বিরল। মা কালির এক বড় মন্দির রয়েছে এখানে কিন্তু আপনি ভাববেন তাতে কি? না মন্দিরটার আসল বৈশিষ্ট্য মন্দিরের পূজারী ও ভক্তরা বহন করে। চীনাদের এই মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা যায় এবং মা এর পূজারীও এক চৈনিক।
কিন্তু 60 বছরের ঐতিহ্যপূর্ণ এই বিরল মন্দির স্থাপনের ইতিহাসটাও রোমহর্ষক। আগেই জেনে নেয়া দরকার এখন যেখানে মন্দির অবস্থিত ছিল সেখানে আগে ছিল একটি গাছ ও তার নিচে কিসবু পাথরের উপর সিঁদুর আলতার আঁকিবুকি। গল্পের সূত্রপাত এক 10 বছরের চৈনিক কিশোরের হাত ধরে, এই কিশোরের একসময় মরণাপন্ন অবস্থা হয়ে ওঠে। ডাক্তার জানিয়ে দেয় যে বাঁচানো র সম্ভব নয় সেই সময় তার বাবা মা ওই বট গাছের তলায় শুইয়ে প্রার্থনা করতে থাকে এবং অনেক কষ্টের পর সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তখন থেকে এলাকার সব চৈনিক লোকেরাই মা কালিকে নিজেদের রক্ষাকবচ মনে করে। যদিও এখানকার বেশিরভাগ চৈনিকরা বুদ্ধিস্ট বা খৃস্টান হলেও মা কালি কে সবাই ভালোবাসে।
এই জায়গায় প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় নুডলস ও মোমো। মন্দিরের চারপাশ দেয়াল দিয়ে ঘেরা। সেই পুরোনো শিলা দুটি এখনো ভিতরে অবস্থিত রয়েছে। চৈনিকরা এই প্রাচীন শিলাদুটিকে মঙ্গলচিহ্ন ভাবে।