বাংলা চলচ্চিত্র একের পর পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা রয়েছে, বিশেষ করে মেগা সিরিয়াল গুলিতে চোখ রাখলে দেখা যায় যে প্রচুর নতুন মুখ। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে তাদের এই চলচ্চিত্র জগতে আসার পর কতোটা সংগ্রাম করতে হয়? রিমো ব্যনার্জি। বর্ধমানের ছেলে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ভালো লাগত না। ছোট থেকেই ছবি পরিচালনা করা বা ছবির সঙ্গে যুক্ত কোনও কাজ করা ইচ্ছা ছিল। আর সেই কারনে হায়দরাবাদ থেকেই ছবির জগতে কাজ শুরু করেন এই পরিচালক। বেশ কিছু দক্ষিণী ছবির পোস্টপ্রোডাকশনের সঙ্গে সেখানে যুক্ত থাকার পর পারিবারিক কারণে কলকাতা চলে আসতে হয়। এখানে এসে বুঝতে পারে যে এই জমিতে আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হবে। “হায়দরাবাদের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে কলকাতার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ, সবটাই ঘটেছিল বেশ অনেকটা সময় নিয়ে। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর এই মুহূর্তে সান বাংলায় ‘সাথী’ ধারাবাহিকের পরিচালক। দীর্ঘদিনের চেষ্টা, পরিশ্রমের পর আজ কিছুটা হলেও তিনি নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে”- এমনটাই জানায় কলকাতার এই নবাগত পরিচালক।
“সুরিন্দর ফিল্মসের পোস্টক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হই। আমি সুরিন্দরে অনেক বছর কাজ করেছি। ‘মীরা’, ‘মন মানে না’, ‘জগন্নাথ’ এইসব ধারাবাহিকে কাজ করেছি। গত লকডাউনে ‘বিক্রম বেতাল’ নামের একটি ২০০ পর্বের ধারাবাহিকও আমি শুট করেছি যেটার এখন পোস্ট প্রোডাকশনে চলছে”।
তিনি আরও জানান যে একমাত্র আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেই ছবিকে আর্ট এবং কমার্শিয়াল ফর্মে ভাঙা হয়। আমি নিজে বহুদিন দক্ষিণী ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ওখানে এধরণের কোনও ভাগ নেই। আমি এমন ছবি বানাবো যেটা কলকাতা এবং সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের দর্শক দেখতে পারবে, বুঝতে পারবে।এখানে বেশিরভাগ কমার্শিয়াল ছবি রিমেক হয়। যে মূল ছবিটা দেখে দর্শক খুশি হয়েছে, সেটারই বাংলা রিমেক দর্শক পছন্দ করেন না। একটা মৌলিক গল্প, তার সঙ্গে বাণিজ্যিক ছোঁওয়া এবং সামাজিক কোনও মেসেজ, আমি এমন ছবি বানাতে চাই”। এখন দেখার রিমোর এই সংগ্রাম রিমোকে কোথায় নিয়ে যায়।