পরশুরাম এই নামটি আমরা পৃথিবীর দুটি মহাকাব্য রামায়ন এবং মহাভারতের পেয়েছি।এছাড়াও আমরা সবাই জানি যে পরশুরাম হলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার। তাই আমরা প্রায় পরশুরামের সম্পর্কে জানি।কিন্তু এই পরশুরামের সম্পর্কে এই তথ্য যা হয়ত অনেকেই জানেন না এবং এই তথ্যটি জানলে অবাক সেটি হল পরশুরাম নিজের মাকে হত্যা করেছিলেন।কিন্তু কেন বিষ্ণু একটি অবতার হয়ে এত বড়ো একটি পাপ করেছিলেন? জেনে নিন আসল কারন।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, একদিন রেনুকার অর্থাৎ পরশুরামের মা জল আনতে গঙ্গাতীরে গিয়েছিলেন।সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন গন্ধর্বরাজ স্ত্রীসহ জলবিহার করছেন৷ এই বিষয়টি তিনি দেখতে গিয়ে এতটাই বিভোর হয়ে যান যে ঋষি জমদগ্নির হোমবেলার সময় চলে যাওয়াও বিস্মৃত হয়ে যান তিনি৷স্ত্রীর দেরি হওয়ায় ঋষি তার তপোবলে সমস্ত বিষয়টি জেনে নেন।এবং এতে ভীষণ ক্রোধিত হয়ে যান ঋষি জমদগ্নি ।তখন তিনি তার পাঁচ ছেলেদেরকে মাতৃহত্যার আদেশ৷ প্রথম চার ছেলে তা অস্বীকার করলেও পরশুরাম পিতার আদেশে মানেন।এই পরশুরাম হলেন ঋষি জমদগ্নি এবং রেনুকার সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।তিনি পিতার আদেশে মতো তার মা এবং ভাইদের কুঠার দিয়ে হত্যা করেন৷ এত তার পিতা খুশি হয়ে বর দিতে চাইলে তখন পরশুরাম তার মা-ভাইয়ের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে চান৷এবং সেই মতো তার পিতা তাঁকে বর প্রদান করেন।এতে তার মা এবং ভাইরা আবার প্রান ফিরে পায়।