নিউজ ডেস্কঃ মদ্যপান এক সামাজিক ব্যাধি। বা নেশা এক সামাজিক ব্যাধি যা চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো সম্ভব। এই ধরনের পোস্টার হামেশায় রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়। কোনোদিন কি আমরা ভেবে দেখেছি যে এই কথাগুলির অন্তর্নিহিত অর্থ কি? বা কেন এই ধরনের কথা গুলি লেখা থেকে রাস্তায় বা কোনও বাড়ির দেওয়ালে।
মদ্যপানে কি কি অসুবিধা আসতে পারে
মদ্যপানে প্রথমত লিভারের অসুবিধা আসতে পারে। যদিও একাধিক রোগের কারনেই লিভারের অসুবিধা আসতে পারে।
মদ খাওয়ার ফলে বা অ্যালকোহল নেওয়ার ফলে লিভার সিরোসিস প্রবলেম আসতে পারে।
মদ খেলে শুধু মানুষের শরীর বা লিভার খারাপ হয় না। এর পাশাপাশি আপনার চারিদিকের মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। বিশেষ করে পরিবার, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সাথেও সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
এই নেশা এমন এক জিনিস যা সর্ব প্রথম আপনার নৈতিক বা সামাজিক ক্ষতির আগে আপনার ব্রেনের ক্ষতি করে। বিশেষ করে আমাদের ব্রেনের সার্কিট প্রচুর পরিমানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যা আপনাকে আসতে আসতে আসক্তির শিকার বানিয়ে তোলে।
আমাদের মস্তিস্কে তিন ধরনের সার্কিট থাকে। আরাউসুয়াল সার্কিট, স্ট্রেস সার্কিট, রিওয়ার্ড সার্কিট। মদ্যপানের সর্ব প্রথম আরাউসুয়াল সার্কিট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর আসতে আসতে স্ট্রেস সার্কিট এবং রিওয়ার্ড সার্কিট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে আসতে আসতে আসক্তি বাড়তে থাকে এবং তখন বিভিন্ন ধরনের অজুহাত মানুষ দিতে থাকে মদ্য পান করার জন্য।
কিভাবে মদ্যপান ছাড়বেন
মদ্য পান ছাড়ানোর বা লিভারের রোগ থেকে কোনও রোগীকে সুস্থ করার আগে, সর্ব প্রথম দরকার তার মানুষিক চিকিৎসা।
তাদেরকে মানুষিক ভাবে সুস্থ করার জন্য ভালো পরামর্শ দেওয়া উচিত।
মানুষিক ভাবে কোনও রোগীকে সঠিক পরামর্শ দিলে সাধারনত এক মাসের মধ্যেই অ্যালকোহল ছেড়ে দেয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
অ্যালকোহল ছেড়ে দেওয়ার সময় মানুষিক ভাবে শক্ত হওয়ার পাশাপাশি মস্তিস্কের সহনশীলতা ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
পারিবারিক ভাবে রোগীকে উদবুদ্ধ করতে হবে। রোগীকে সবসময় ভালো পরামর্শ দিতে হবে।
অ্যালকোহল ছাড়ার সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন হাত পা জ্বালা, অলসতা, ঠিকমতো ক্ষিদে না পাওয়া। এই জিনিস গুলি মাথায় রাখতে হবে।
আসলে মদ্যপানে শরীরের বা লিভারের ক্ষতি হয় একথা ঠিক। কিন্তু এটাও ঠিক যে নেশাগ্রস্থ মানুষের কাউন্সেলিং করে তাঁকে সুস্থ করা সম্ভব।