নিউজ ডেস্কঃ মাছ সমুদ্রে সাতার কাটবে সেটাই তো স্বাভাবিক কিন্তু যদি বলা হয় ,এমন এক মাছ আছে যা হাঁটতে ও পারে! কি? বিশ্বাস হলো না তো?অ্যাক্সোলটল নামক প্রাণীটির নাম শুনলে আপনি তবে অবাক হবেন। জলের ড্রাগন বা মেক্সিকান চলন্ত মাছ নামে পরিচিত গিরগিটি সদৃশ উভচর এই প্রাণী।জলের তলায় স্বাচ্ছন্দে বসবাস করা এই প্রাণী ফুলকার সাহায্যে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চালায়। এদের ফুলকা থাকে মাথার পাশে যা খানিকটা পাখনার মতো দেখতে হয়। সাদা, কালো, সোনালি– হরেক প্রজাতির অ্যাক্সোলটল দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাক্সোলটল পরিষ্কার আর শান্ত জল পছন্দ করে। এরা সাধারণত ব্লাডওয়ার্ম আর ছোট চিংড়িমাছ জাতীয় খাবার খায়।
এদের এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো যে অন্ধকারে এদের গা দিয়ে এক সবুজ জ্যোতি বের হয়।অধিকাংশ অ্যাক্সোলটলের রয়েছে গ্রিন ফ্লুরোসেন্ট প্রোটিন। যার জন্য অন্ধকারেও এদের শরীর থেকে এই সবুজ আভা বের হয়। এ সময় প্রাণীটিকে দেখতে অসম্ভব রকমের সুন্দর লাগলেও, অতিরিক্ত সময় ধরে অন্ধকারে থাকাটা অ্যাক্সোলটলের জন্য ক্ষতিকর। সর্বোচ্চ ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার মাছটি পনেরো বছরেরও বেশি সময় বাঁচে।
পোষাপ্রাণী হিসেবেও অ্যাক্সোলটলের তুলনা নেই এবং এরা দারুণ জনপ্রিয়ও । ঠান্ডা ও কালো জলে অভ্যস্ত এই মাছকে খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জলে রাখা উচিত না। উভচর হওয়ায় অ্যাক্সোলটলের অ্যাকুয়ারিয়ামের জল সবসময় অর্ধেক রাখা উচিত। এছাড়া এদের পোষার সময় এক বিশেষ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হয় তা হল -অ্যাক্সোলটলের সঙ্গে অন্য প্রজাতির কোনো মাছ রাখা ঠিক নয়। অ্যাকুয়ারিয়ামে সবসময় একই বয়সের দুটি অ্যাক্সোলটল রাখতে হবে। নইলে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলবে।
পোষাপ্রাণী হিসেবে এই অ্যাক্সোলটল কিন্ত খুবই বন্ধুপ্রবণ। তারা কাছের মানুষগুলোকে চিনতে ও তাদের খুব সহজেই ভালোবাসতে পারে।