প্লেনের কম্পাস ঠিকমতো কাজ হয়না। কোনও মিসাইল ক্ষতিও করতে পারেনা। পৃথিবীর কোন দেশে রয়েছে এমন স্থান?

প্লেনের কম্পাস ঠিকমতো কাজ হয়না। কোনও মিসাইল  ক্ষতিও করতে পারেনা। পৃথিবীর কোন দেশে রয়েছে এমন স্থান?

নিউজ ডেস্কঃ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এই পৃথিবীতে রহস্যের অন্ত নেই।বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে পৃথিবীর সর্বত্র মানুষের বিচরণ বেড়েছে ঠিকই তবে, এখনো কিছু কিছু স্থান রয়ে গেছে যেগুলো আমাদের কাছে রহস্যঘেরা।এসব স্থানে ঘটে এমন কিছু জিনিস যার ব্যাখ্যা মানুষ বহু চেষ্টা করেও বের করতে পারেনি।   পৃথিবীর অসংখ্য রহস্যময় জায়গার মধ্যে একটি হলো  মেক্সিকোর জোন অব সাইলেন্স।

এই মেক্সিকো মরুভূমি ,যার অপর নাম জোন অফ সাইলেন্স বা নীরব ভূমি হল এক গুরুতর রহস্যের কেন্দ্রবিন্দু। সাধারন মরুভূমি থেকে সব দিক থেকেই এটি বেশ আলাদা । রাতের অন্ধকারে গুমোট পরিবেশে প্রায়ই এখানে নামে উল্কাবৃষ্টি। এছাড়াও এখানে ঘটে নানা রহস্যময় ঘটনা। যেমন -চলন্ত গাড়ি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় নিজে নিজেই আবার কখনো বা চলন্ত টেপরেকর্ডার বন্ধ হয়ে যায় হঠাৎ করেই ।এক্ষেত্রে উল্লেখ্য এই জোন অফ সাইলেন্স ও কুখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল কিন্তু একই অক্ষাংশে অবস্থিত ।

এই জোন অব সাইলেন্সের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন প্লেনের পাইলট প্রায়ই জানান যে হঠাৎই সব কিছু যেন কেমন বিভ্রান্তিকর মনে হয় তাদের।অনেক সময় কম্পাস কিছুতেই ঠিকঠাক কাজ করেনা এই অঞ্চলে । এই অঞ্চলের কোনায় কোনায় যেন রহস্যের ছায়া। এক অদ্ভুত ধরনের দৈত্যাকার ক্যাকটাস গাছ দেখা যায় এখানে যার রং টকটকে লাল ,কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল যখনই গাছগুলোকে এলাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই তাদের স্বাভাবিক রঙ যেন হারিয়ে ফেলে এরা ।

এটি এমনই এক রহস্যময় জায়গা যে আশেপাশের মানুষ এখানে বসতি করার সাহস দেখায়নি কখনো  । তবে রহস্যের শেষ কিন্তু এখানেই নয়,  মরুভূমির নিকটবর্তী শহর সেবালোসের নাগরিকরা প্রায়ই এখানে ফ্লাইং সসার দেখতে পান বলে দাবি করেন। জোন অব সাইলেন্সকে ঘিরে আরো বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনার কথা শোনা যায় । ১৯৭০ সালে ইউএস এয়ারফোর্স উটাহর গ্রিন রিভার থেকে ‘অ্যাহেনা’ নামের একটি মিসাইল নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে মিসাইলটি আসল জায়গায় না পড়ে নিরবভূমিতে পড়ে । এয়ারফোর্সের মিসাইল  লক্ষচ্যুত হওয়া খুবই অস্বাভাবিক ব্যাপার হওয়ায় এ নিয়ে বেশ হৈচৈ শুরু হয় এমনকি  ইউএফও গবেষণাবিদ এবং লেখক ব্রাডস্টিগার এ ব্যাপারে জানান যে তার মনে হয় হয় কোন অজানা শক্তি মিসাইল টাকে ধ্বংস করেছে না হলে ভিনগ্রহের ইউএফও ওটাকে জোন অফ সাইলেন্স টেনে এনেছে ।

গবেষণা চালানো সত্বেও সাইলেন্স জোনের  রহস্য উদঘাটন করতে গবেষকরা এখনো সমর্থ হননি । ইউএফও এলিয়েন প্রভৃতি বিভিন্ন রহস্যময় জিনিস এর কথা এখানে উঠে এল তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি তবে আশা করা যায় ক্রমাগত গবেষণার মাধ্যমে একদিন হয়তো ঠিকই  সাইলেন্স জোনের অজানা রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *