করোনার কারনেই এবার পৃথিবীতে সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রানি। কিন্তু কেন এমন বলা হচ্ছে?

করোনার কারনেই এবার পৃথিবীতে সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রানি। কিন্তু কেন এমন বলা হচ্ছে?

নিউজ ডেস্কঃ মেরু ভাল্লুক (Ursus maritimus) এক প্রজাতির ভাল্লুক। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম শ্বাপদ। বিভিন্ন জলচর ও স্থলজ প্রানী, যেমন, বিভিন্ন প্রজাতির শীল এদের খাদ্য। এছাড়াও মৃত তিমি সহ বিভিন্ন ধরনের প্রানীর মাংস এরা খায়। একটি পুরুষ মেরু ভাল্লুকের ওজন ৪০০-৬৮০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে, অন্যদিকে একটি মহিলা মেরু ভাল্লুকের ওজন হয় একটি পুরুষ মেরু ভালুকের প্রায় অর্ধেক।

এরা পুরু চামড়া যুক্ত ও এদের লোম সাদা। উত্তর মেরুর বাসিন্দা হওয়ায় এদের চামড়ার নিচে পুরু চর্বির আস্তরণ থাকে। যা তাদের প্রচণ্ড ঠান্ডায় টিকে থাকতে সাহায্য করে। এরা চমৎকার সাঁতারু। এদের থাবা অনেক বড়। এরা প্রচণ্ড ঠান্ডা জলেও সহজে মানিয়ে নিতে পারে। উত্তর মেরুর Arctic Circle এ এদের মূলত দেখা যায়। তবে, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এই ভাল্লুক বর্তমানে সংকটাপন্ন।

বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে অদূর ভবিষ্যতে যে সব প্রজাতির প্রাণী পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, সেই  তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পোলার বিয়ার বা মেরু ভাল্লুক। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সামুদ্রিক বরফ গলে যাচ্ছে দ্রুত হারে। ফলে পোলার বিয়ারদের বাঁচার আশা ক্ষীণ হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন,এদের সংখ্যা ২৬ হাজার থেকে কমে ১৭ হাজার হয়ে যাবে আগামী ৩৫ বছরেই অর্থাৎ বছর ৩৫ থেকে ৪০-এর মধ্যে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এক তৃতীয়াংশ মেরু ভাল্লুক।

মেরু ভাল্লুকের ১৯টি ডিভিশনের মধ্যে দুটি শ্রেণির সংখ্যা কমছে লক্ষ্যণীয় ভাবে। তবে করোনার ফলে বিশ্ব জুড়ে দূষণ কমেছে। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রাও কমেছে, যার কারনে ওজোনস্তর বেশ খানিকটা ঠিক হয়েছে। যার ফলে এই ধরনের বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মত একাধিক বিশেষজ্ঞদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *