নিউজ ডেস্কঃ ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর এই তিন দেবতা নিয়ে এক ঈশ্বর এই কথাই প্রচলন আছে। তাই শিব এবং বিষ্ণু একি আর দুজনেই কাজই হল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডতে ধর্মকে রক্ষা করে রাখে। তারা দুজন এক হওয়া সর্তেও কেন শিব বিষ্ণুর অবতারের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন? জেনে নিন যে শিব কেন বিষ্ণুর অবতারের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং এর পরিনতি কি হয়েছিল।
পৌরাণিক কাহিনী হিসাবে যখন যখন ধর্মের বিলুপ্তি ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় তখন তখন ভগবান নানা অবতারে এসে ধর্মকে রক্ষা করে।ঠিক তেমনি বিষ্ণুর এই অবতার অর্থাৎ নৃসিংহদেব হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করার জন্যে জন্মে ছিলেন।
হিরণ্যকশিপু ব্রহ্মার তপস্যা করার ফলে ব্রহ্মার থেকে বর পেয়েছিলেন যে তাকে কোনো মানুষ বা কোনো পশু হত্যা করতে পারবেন না এবং তাকে না আকাশে মারা যাবে না মাটিতে মারা যাবে তাকে কোনো অস্ত্র দিয়েও মারা যাবে না। এই জন্য হিরন্যকশিপু হয়ে উঠেছিল ভয়ংকর। হিরন্যকশিপু পুত্র প্রলাদকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন কেন না তার পুত্র বিষ্ণু ভক্ত ছিলেন।
প্রলাদকে তিনি মারতে পারেন নি। আর এই অধর্মী হিরণ্যকশিপুকে মারতে বিষ্ণু দেবের অবতার নৃসিংহদেব আবির্ভূত হয়েছিলেন। যিনি ছিলেন অর্ধেক মানুষ এবং অর্ধেক সিংহ। তিনি হিরণ্যকশিপুকে তার কোলে তার ধারালো নখ দিয়ে তাকে বধ করেছিলেন। কিন্তু তাতে নৃসিংহদেব ক্রোধ শান্ত হয় না। নৃসিংহদেব ক্রোধে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড কাপতে থাকে। তখন সব দেবতারা শিবের কাছে গিয়ে নৃসিংহদেবে ক্রোধকে শান্ত করার জন্যে বলেছিলেন।
শিব নৃসিংহদেবকে শান্ত করানোর জন্যে শিবের অবতার বীরভদ্রকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও নৃসিংহদেবের ক্রোধকে শান্ত করতে পারে নি। তখন শিব তার ১৩ নম্বর অবতার স্বরবেস্বর হিসাবে নৃসিংহদেবের সামনে এলেন। শিবের এই অবতার মানুষ, পাখি এবং সিংহ মিলানো ছিল। প্রথমে স্বরবেস্বর নৃসিংহদেবের ক্রোধ শান্ত করতে চেয়েছিলেন কিন্তু নৃসিংহদেবের ক্রোধ শান্ত হয় না। এরপর ১৮ দিন ধরে স্বরবেস্বর ও নৃসিংহদেবের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ হয়। অবশেষে নৃসিংহদেব স্বরবেস্বর সামনে দুর্বল হয়ে পরে তখন তার ক্রোধও শান্ত হয়। তখন নৃসিংহদেব বুঝতে পারেন যে শিবের এই অবতার তার ক্রোধ শান্ত করার জন্যে এসেছেন। তারপর নৃসিংহদেব বিলিন হয়ে যায়।