নিউজ ডেস্কঃ আমাদের পৃথিবীর আরেকটা নাম হচ্ছে রহস্য। আমরা পৃথিবীর সম্পর্কে কেবল মাত্র 15% জানতে পেরেছি ৩৫% নিয়ে খোঁজ চলছে এবং বাকি 50% এখনো আমাদের অজানা রয়ে গেছে। যেমন পৃথিবীর-সবচেয়ে-বড়-সাপ মেগালোডন আজও জীবিত আছে বলে অনেকে দাবি করেন। কেউ কেউ অনুমান করছেন যে পৃথিবীর-সবচেয়ে-বড়-সাপ টাইটানোবোয়া আজও বেঁচে আছে। টাইটানোবোয়া সাপ এর প্রথম প্রমাণ পাওয়া গেছে 2007 সালে। একদল গবেষণারত মানুষ কলম্বিয়ার মাল্টিমিটার সাপের কঙ্কাল পেয়েছিল, যেখানে কার্বনের বয়স পরিমাপ করা হল তখন জানা গেল এটি প্রায় 6 কোটি বছর পুরনো।
মানুষ তা দেখার পর একটু অবাক হলেও আসলে চিন্তার বিষয় যে এত বড় আকৃতির কিভাবে হতে পারে? আসলে 2009 সালের আগে 100 বছর পর্যন্ত মানুষ মনে করত যে পৃথিবীর-সবচেয়ে-বড়-সাপ দৈর্ঘ্য দশ মিটার। পৃথিবীতে আর এর থেকে বড় সাপ থাকতে পারে না কারণ যখন কোন জীবের আকার বড় হয় তখন তার মাংস তিনগুণ বৃদ্ধি পায় এবং যত বেশি মাংস হবে গ্রামের বেশি হবে যার কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না কিন্তু টাইটানোবোয়া মিথ্যা প্রমাণ করে দেয়।
1135 কেজি পর্যন্ত গিলে ফেলতে পারতো এই সাপ। তাপমাত্রা যত বেশি হবে এদের সাইজ তত বেশি বড় হবে এটাই অনুমান করা হয়। যে তখন পৃথিবীর তাপমাত্রা আজকে তুলনায় অনেক বেশি গরম ছিল। গ্রাভিটির সাপের শরীরের উপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না।
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে থাকে এবং সবসময় জন্য বিলুপ্ত হয়ে যায় এই সাপ। কিন্তু গত দুইশো বছরে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা আবার বেড়ে গেছে এমনও তো হতে পারে যে টাইটানোবোয়া আবার পৃথিবীতে জীবিত হয়ে ফিরে আসতেই পারে।
কারন এখন পর্যন্ত জীবিত সবচেয়ে লম্বা সাপ 10 অক্টোবর 2012 সালে খুঁজে পাওয়া গেছে।