জলের অপর নাম জীবন।প্রাকৃতিক আবহাওয়া, মানুষের জীবনযাত্রার ধরন, দৈহিক গঠন ও সুস্থতার ওপর নির্ভর করে তার কতটা জল পান করা প্রয়োজন।সাধারনত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৪-৫ লিটার জল পান করা উচিত।ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি জল পান করা উচিত।
ঘুম থেকে উঠে জল পান করার অভ্যাস রাখা ভালো।খাবারের ঠিক আগে বা খাবার সময় জল পান করা ঠিক নয়।কারন পাক রসগুলো দ্রবীভূত হয়ে হজমে ব্যাঘাত ঘটায় ও লালা নিঃসরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।খালি পেটে বা খাবার এক থেকে দুই ঘণ্টা পরে জল পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারি।
অনেকসময় মিশে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস রোগ ছড়ায়।সেক্ষেত্রে সব থেকে ভাল জল ফুটিয়ে বা কর্পূর কিংবা ফিটকিরি মিশিয়ে জল পান করা।ডাব বা কচি নারিকেলের জল পানীয় হিসাবে গ্রহন করলে তেষ্টা মেটে ও তৃপ্তি পাওয়া যায়।ডাবের মতো পুষ্টিকর পানীয় পৃথিবীতে আর নেই।কচি ডাবের থেকে সুপুষ্ট ডাব বেশি উপকারি।
এছাড়াও সকাল বেলায় গরম জল খেয়ে অনেক উপকার হয়।যেমন- নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে মাত্র এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল খেলেই কমবে ওজন, শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়,পেটের নানান সমস্যায় ভালো কাজ করে ও ত্বককে আদ্র রাখে ।এছাড়াও উষ্ণ গরম জল খেলে গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়,শরীরে বলিরেখা পড়া বা ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এমনকি মহিলাদের ঋতুস্রাবে সময় তলপেটের যন্ত্রণা করে।তাই এই সময়ে গরম জল খেলে তলপেটের পেশিগুলি স্বস্তি পায়। যার ফলে যন্ত্রণাও কমে।