৪৪ সেকেন্ডে ১২ টি বিধ্বংসী মিসাইল লঞ্চ। কার্গিল যুদ্ধে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল সেনাবাহিনী

৪৪ সেকেন্ডে ১২ টি বিধ্বংসী মিসাইল লঞ্চ। কার্গিল যুদ্ধে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের ডিফেন্সের ক্ষেত্রে যে বিশেষভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তা একাধিকবার নজরে এসেছে। বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে শুরু করে মিসাইল উৎপাদনের ক্ষেত্রে। একাধিকবার ভারী পাল্লার মিসাইল বহু বছর ধরেই ভারতে তৈরি হচ্ছে।

ভারত প্রতিবছর পিনাকা রকেট উৎপাদন ক্ষমতা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৩ পর্যন্ত গড়ে  ১০০০ টি রকেট উৎপাদন হত বছরে তবে ২০১৪ সাল থেকে থেকে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০০ হয়েছে। অর্থাৎ ভারত এখন প্রতিবছর ৫০০০পিনাকা রকেট উৎপাদনে সক্ষম।

প্রতিটি পিনাকা মার্ক ১ (৪০কিমি আনগাইডেড) রকেটের মূল্য ৩৫লক্ষ টাকা। আর ৭৫-৯০কিমি গাইডেড পিনাকার মূল্য ৭৫লক্ষ টাকা। এছাড়াও মার্ক ৩ নিয়ে কাজ চলছে ১২০ কিমি দূরে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞেরা।

ভারতে মোট ২২রেজিমেন্ট পিনাকা রেজিমেন্ট থাকবে। প্রতি রেজিমেন্টে ২০০টি পিনাকা রকেট থাকে রেডি টু ফায়ার মুডে ( রিলোড ছাড়া )।

১৯৮৬ সালে প্রথম ডিসাইন করা হয়েছিল এই রকেট। ১৯৮৮ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়। এটি একমাত্র ভারতের কাছেই রয়েছে।

প্রতিটি লঞ্চারে ১২ টি  করে রকেট থাকে বা ৭২ টি রকেট থাকে একটি ব্যাটারিতে। এটি ৪৪ সেকেন্ডে ১২ টি রকেট লঞ্চ করতে সক্ষম।

২০১৯ সালে এটিকে নতুন করে আপগ্রেড করা হয়। যার কারনে এটির ফায়ার রেঞ্জ ৯০ কিমি বর্তমানে।

৫৫০০কিমি/ঘণ্টার গতিবেগ অর্থাৎ ম্যাক ৪.৭ গতিবেগে হামলা চালাতে সক্ষম। এই রকেটের অপারেশানাল রেঞ্জ ৮০০ কিমি।

কার্গিল যুদ্ধে বিশেষভাবে এটিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশেষ করে শত্রুপক্ষের একাধিক ঘাঁটি উড়িয়ে তাদের মনে ভীত ধরিয়েছিল এই বিধ্বংসী রকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *