নিউজ ডেস্কঃ যোগা বা প্রাণায়াম আজকাল আট থেকে আশি সকলেই করছে। কারন এটি এমনই এক জিনিস যা শরীরের বিরাট উপকার করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে এর বেশ কিছু নিয়ম আছে, যা অনেকেই না মেনে ইচ্ছা মতো করার চেষ্টা করে থাকেন।
সব সময় আলোঃ বাতাস ও বায়ুপূর্ণ স্থানে যোগাসন করবেন।অসমতল, স্যাঁতসেঁতে, দুর্গন্ধময় স্থানে যোগাসন করবেন না। যদি বাইরে থেকে দুর্গন্ধ আসে তবে ভালো ধুপ জ্বালিয়ে দুর্গন্ধ নাশের চেষ্টা করবেন।
যেখানে চেঁচামেচি হবে, মশার উৎপাত হবে তেমন জায়গায় যোগাসন করবেন না।রান্না ঘরে কেরসিনের ল্যাম্প জ্বেলে যোগাসন করবেন না।
পরিষ্কার জায়গায় একটি কম্বল দু ভাঁজ করে বিছিয়ে তারপর পরিষ্কার চাদর পেতে যোগাসন করবেন।স্প্রিং দেওয়া গদিতে বা নরম বিছানায় যোগাসন করবেন না।
যোগাসনে বসার আগে পোশাক শক্ত করে পরবেন না।পোশাক থাকবে ঢিলে ঢালা।দড়ি দেওয়া জাঙ্গিয়া ও গেঞ্জি পরে যোগাসন করা ভালো।
খালি পেটে বা খাওয়ার ৪-৫ ঘণ্টা পরে যোগাসনে বসবেন। যে কোন আসন ১৫ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড করে শবাসন ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে আবারও ৫-৬ বার করবেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মল মূত্র ত্যাগ করে এক গ্লাস জল খেয়ে যোগাসন করতে পারেন।
কোন সময় দীর্ঘক্ষন অনাহারে থাকবেন না।সামান্য কিছু খেলেও খাবেন। তা না হলে গ্যাসটিক আলসার রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
যোগাসনে লিপ্ত হওয়ার সময় সামনে একখানা আয়না রাখবেন। তাতে বুঝতে পারবেন আপনার যোগাসনের পদ্ধতি ঠিক হচ্ছে কিনা।
আপনি প্রতিদিন কিরূপ আসন করবেন তার একটি তালিকা তৈরি করবেন।(১) এমন ২/৪ টি আসন করুন যাতে মেরুদন্ড সামনে।(২)২-৪ টি বামে-ডাইনে মোচড় দেওয়া।(৩) ২-৪ টি পেটের উপর চাপ পরে এমন আসনে অভ্যস্থ হবেন।
যোগাসনে বসার একটি নির্দিষ্ট সময় করে নেবেন।প্রতিদিন ঐ সময়ে আসন করবেন।দুবেলা করলে ভালো হয়।মাঝে মধ্যে দু-একদিন বাদ যায় তাতে ক্ষতি হয় না।
যারা যোগাসন করেন তাদের প্রতিদিন অন্তত ২.৫ লিটার জল পান করা উচিত।আহারের ১ ঘণ্টা আগে বা ১ ঘণ্টা পরে জল খাবেন।খাওয়ার সময় জল খাবেন না।