নিউজ ডেস্কঃ গম, জব বা ভুট্টার মতো কিছু জিনিস আছে যা আমাদের প্রায় অনেক খাওয়ারের মধ্যেই দেওয়া থাকে, এবং তা আমরা অজান্তেই খেয়ে থাকি। অনেকেই হয়ত জানেনা যে এর কতোটা উপকারিতা।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেঃ ভুট্টায় ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েড ও বায়োফ্লাভোনয়েডস এ সমৃদ্ধ যা রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রন করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহাজ্য করে।এছাড়া ভুট্টার তুষের তেল গ্রহণ করলে প্লাজমার এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণ কমানোর মাধ্যমে।
অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করেঃ বেবি কর্ণে ভালো পরিমানে আয়রন থাকে।তাই ভুট্টা খেলে আয়রনের ঘাটতি পুরন হয় এবং রক্তস্বল্পতা বা অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে।
পরিপাকের উন্নতি ঘটায়ঃ উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকে বলে ভুট্টা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।ডায়েটিশিয়ান ডাঃ আস্থা শর্মা বলেন একটি গবেষণায় কোলন ক্যান্সারের রোগীদের ভুট্টা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হাইপারটেনশান কমায়ঃ ফেনলের উপস্থিতির জন্য ভুট্টা খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
গর্ভবস্থার জন্য অত্যাবশ্যকীয়ঃ ফলিক অ্যাসিডের চমৎকার উৎস বেবিকর্ণ এবং শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।গর্ভবস্থার খুবই সাধারন একটি অভিযোগ হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য।তাই গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্যতালিকায় বেবি কর্ণ যুক্ত করাটা জরুরি।
ক্যান্সারের ঝুকি কামায়ঃ ভুট্টা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তাই ক্যান্সার সৃষ্টিকারি ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করেঃ বেবি কর্ণের গ্লিসামিক ইনডেক্স কম বলে ডায়াবেটিস মেলাইটিসের জন্য উপকারি।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ ভিতামিন এ এর ভালো উৎস হওয়ায় ভুট্টা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নেঃ ভুট্টা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে দীর্ঘদিন যাবত সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ভুট্টা খাওয়ার পাশাপাশি ভুট্টার তেল ব্যবহার ও উপকারি কারন এতে লিনোলেইক অ্যাসিড থাকে।ভুট্টার মাড় ত্বকের চুলকানি ও র্যাশ প্রশমিত হতে সাহায্য করে।