চীনের হাতেই রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজের মধ্যে একটি। এটি কতসালে সার্ভিসে আসে জানেন?

চীনের হাতেই রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজের মধ্যে একটি। এটি কতসালে সার্ভিসে আসে জানেন?

১) Liaoning, China: বর্তমানে লিওনিং চিনের নেভিতে যুক্ত থাকলেও এটি কিন্তু প্রথমে চিনের নেভিতে ছিল না।এটিকে মেরামত, সংশোধন করেছে চিন কিন্তু বানিয়ে ছিল সোভিয়েত রাশিয়া।এই রণতরীটি সোভিয়েত রাশিয়াতে বানানো শুরু হয়েছিল এবং ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত নেভিতে যুক্ত হয়েছিল।১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে গেলে এটি বিক্রি হয়ে যায় ইউক্রেনের কাছে।তারপর এটি ১৯৯৮ সালে চিন সরকার কিনে নেন এবং পুনরায় হস্তান্তরিত হয় চিনে।মেরামত ও সংশোধনের পর এটি ২০১২ সালে চিনের নেভিতে এটি লিওনিং নামে যুক্ত হয়েছিল।কয়েক বছর আগে চিন স্বদেশী প্রযুক্তিতে এটি আরও উন্নত করে তোলে।এই রণতরীটি লম্বায় ৫ মিটার বা ৯৯৯ ফুট।এর উপর ৪০ টি এয়ার ক্রাফট রাখা যায়।লিওনিং রেঞ্চ ৭১৩০ কিলোমিটার। এবং এর মধ্যে আছে ৩৮৫৭ টি ঘর যেখানে থাকতে পারে প্রায় ২৫০০ মানুষ।এই রণতরীটি এক টানা ৪৫ দিন পর্যন্ত সমুদ্রে থাকতে পারে।

২) Nimitz-Class aircraft carrier: এই সুপার ক্যারিয়ারটি অ্যামেরিকার নৌসেনাদের শোভা বাড়াচ্ছে।এই বিমানবাহী রণতরী ৮৫-৯০ টি বিমান ও হেলিকাপ্টার নিয়ে যেতে সক্ষম।যার গতিবেগ ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার  এবং এটি লম্বায় ১০৯২ ফুট ও এর উতপাদন ক্ষমতা ১০০০০০ টন।এই রণতরীটিতে প্রপালশান সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে ৪ টি স্টিম টার্বাইন আর ২ টি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর।এবং এতে রয়েছে সিএস প্যারো মিসাইল। এই জাহাজটি এক সাথে ৬০০০ বেশি স্ক্রু মেম্বার নিয়ে যেতে।

৩)Gerald R. Ford-Class aircraft carrier: অ্যামেরিকার এই রণতরীটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো এবং শক্তিশালী aircraft carrier।এটি ২০১৭ সালে নৌসেনাতেযুক্ত হয়েছিল।এটি লম্বায় প্রায় ১১০৬ ফুট এবং এটি ১০০০০০০ টন পর্যন্ত হাতিয়ার বহন করে নিয়ে যেতে সক্ষম।এতে নতুন জেনেরেশনে ২ নিউক্লিও রিঅ্যাক্টর লাগানো আছে যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আগের ক্যারিয়ারের তুলনায় ২.৫ গুন বেড়ে গেছে।এই রণতরীটি ৭৫ টির বেশি যুদ্ধবিমান একসাথে রাখতে পারে এবং ২৬০০ স্ক্রু মেম্বার নিয়ে যেতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *