নিউজ ডেস্কঃ পান্ডা (Ailuropoda melanoleuca) ভালুকের মতো দেখতে সাদাকালো রঙের বড়সড় এক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।এরা দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য চীনের পাহাড়ি ঢালের ঘন বাঁশবনে বাস করে। শ্বাপদকূলের অন্তর্গত হলেও এর খাবারের ৯৯% জুড়ে রয়েছে বাঁশ পাতা।বর্তমানে পান্ডা বিপন্ন প্রজাতির প্রানী হিসাবে চিন্তিত। প্রাকৃতিক পরিবেশে এরা সাধারনত 20 বছর বাঁচে।
বৈজ্ঞানিক নাম :Ailuropoda melanoleuca, অর্থ (“সাদাকালো বিড়ালপদী”)
জগৎ:Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী:স্তন্যপায়ী
বর্গ:তৃণভোজী
পরিবার:Ursidae
ওজন: 70-100kg (প্রাপ্ত বয়স্ক)
দৈর্ঘ্য : 60-90 cm (প্রাপ্ত বয়স্ক)
প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে অনেক বৈচিত্র্য। পান্ডার মধ্যেও বৈচিত্রময়তার চিত্র আমরা দেখতে পাই । সম্ভবত এ রকম দেখতে স্তন্যপায়ী প্রাণী দ্বিতীয়টি নেই। এদের খাদ্যাভাস ও বেশ আলাদা।
বাঁশের কঞ্চি ধরার জন্য জায়ান্ট পান্ডার পাঁচটি সাধারণ আঙুল ছাড়াও হাতের তালু ও কব্জির সংযোগস্থলে একটি বুড়ো-আঙুলের মত অংশ দেখা যায়। এরা যে শ্বাপদ এবং বাঁশ পাতা খাওয়ার জন্য পুরোপুরি বিবর্তিত নয় তাই এদের আছে শুধু এক ছোট ক্ষুদ্রান্ত্র। তাই এদের খুব বেশি পরিমাণ (বাঁশ পাতা) খেতে হয়। একটা পূর্ণবয়স্ক পান্ডা প্রায় ৩৮ কেজি বাঁশপাতা খেয়ে থাকে প্রতিদিন।
তারমধ্যে পান্ডার স্বতন্ত্র সাদা-কালো প্যাটার্ন তাকে অনেক প্রাণীর মধ্যে থেকেও আলাদা হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।
তাঁরা দেখেছেন, পান্ডার মুখমণ্ডল, ঘাড়, পেট ও পিঠের সাদা অংশগুলো একে তুষারের মধ্যে গা ঢাকা দিতে সাহায্য করে। আর কালো রঙের হাত-পায়ের সাহায্যে তৃণভোজী প্রাণীটি ছায়াচ্ছন্ন স্থানেও লুকিয়ে থাকতে পারে। পান্ডার সাদা-কালো রং শুধুই যে নিজেকে লুকোনোর কাজে লাগে, তা নয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ভালুকের কালো রঙের কান এবং চোখের ওপরের আবরণ প্রাণীটির হিংস্রতা ও আগ্রাসী আচরণের সংকেত দেয়। তাই দেখে সম্ভাব্য শিকারি ও প্রতিযোগী প্রাণীরা উভয়েই সতর্ক হওয়ার সুযোগ পায়। পান্ডাদের ক্ষেত্রেও এ রকম কোনো ব্যাপার থাকতে পারে। পান্ডারা নিজেদের মাঝে যোগাযোগ করতে এবং শিকারিকে ভয় দেখাতে চেহারার এসব বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে।