নিউজ ডেস্কঃ অ্যালোভেরা। এমন এক জিনিস যা আট থেকে আশি সকলেই ব্যবহার করতে পারে। এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হল ইহা মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখের পর্যন্ত উপকার করে। একাধিক রোগের ওষুধ এই অ্যালোভেরা।
হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যালোভেরাঃ আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কনিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হার্টযন্ত্র সুস্থ থাকে।
মাংসপেশি ও জয়েন্টের ব্যাথা প্রতিরোধে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা মাংসপেশির ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।এমনকি ব্যাথা স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যাথা কমে যায়।
দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যাথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওজন হ্রাস করতে অ্যালোভেরাঃ ওজন কমাতে অ্যালোভেরার জুস বেশ কার্যকারী। ক্রনিক প্রদাহের কারনে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরার জুস অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান এই প্রদাহে রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগন এই সকল কারনে ডায়াট লিস্টে অ্যালোভেরার জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরাঃ হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরার জুসের জুড়ি নেই।এটি অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকার ব্যাকটেরিয়া রোধ করে যা হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়।অ্যালোভেরা ডায়ারিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভালো কাজ করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরার জুস রক্তে সুগারের পরিমান ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে।ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং খাওয়ার আগে বা পরে অ্যালোভেরার জুস পান করুন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরাঃ ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশান দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।