শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যেসকল সাবমেরিন গুলি ব্যবহার করতে পারে ভারতের নৌবাহিনী

শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যেসকল সাবমেরিন গুলি ব্যবহার করতে পারে ভারতের নৌবাহিনী

ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাতে একাধিক এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ার, ফাইটার জেট, ট্যাংকার আছে। এবং তা কতগুলি আছে? তা হয়ত অনেকেরই জানা। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে কতগুলি সাবমেরিন আছে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত অনেকের কাছেই অজানা। কতগুলি আট্যাক সাবমেরিন? বা বালেস্টিক সাবমেরিন? বা নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আছে? তার উত্তর অনেকের কাছেই অজানা। বা কোন কোন সাবমেরিন পুরো ভারতীয় টেকনোলজি দিয়ে তৈরি। আর কোন কোন দেশের সাথে যৌথ ভাবে ভারত সাবমেরিন তৈরি করেছে বা করছে? সেই তালিকাতে কিন্তু অ্যামেরিকার নাম নেই তবে, রাশিয়া জার্মান ফ্রান্সের মতো বেশ শক্তিশালি দেশের নাম আছে এই তালিকায়।

আই এন এস চক্র
চক্র ক্লাস- ২০০৮ সালে রাশিয়া নৌবাহিনীর হাতে ছিল এই সাবমেরিন। ২০১২ সালে এটি ভারতের হাতে আসে। এটি একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। এবং এই গোত্রীয় সাবমেরিন মাত্র ১ টি আছে ভারতের হাতে। ১০ বছরের লিসে এটি রাশিয়া ভারতকে দিয়েছে।

আই এন এস আরিহান্ত
আরিহান্ত ক্লাস- এটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার বালিস্তিক সাবমেরিন।একমাত্র সাবমেরিন যেটি পুরো ভারতীয় টেকনোলজি ও পুরোটাই ভারতে তৈরি। এটি একটি বালিস্তিক সাবমেরিন। এটি ১১৫০ ফুট নীচ পর্যন্ত যেতে সক্ষম। এটি ২০১৬ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসে।

আই এন এস শিশু
শিশুকুমার ক্লাস সাবমেরিন- আই এন শিশু জার্মান সাবমেরিন। এই গোত্রীয় সাবমেরিন মোট ৪টি ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আছে। যার মধ্যে ২টি ১৯৮৬ ১টি ১৯৯২ ও একটি ১৯৯৪ সালে ভারতের হাতে আসে।সবকটি সাবমেরিনই আট্যাক সাবমেরিন।

আই এন এস সিন্ধু ঘোষ
সিন্ধুঘোষ ক্লাস সাবমেরিন- ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে মোট ১০টি এই গোত্রীয় সাবমেরিন থাকলেও। ১৯৮৬ সালে এই সাবমেরিন গুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসে। বর্তমানে ৮টি এই সাবমেরিন আছে। ১ টি সাবমেরিন (s-63) ২০১৭ সালে ভারতীয় নৌ বাহিনীর থেকে অবসরন করা হয়।

আই এন এস কাল্ভারি
কাল্ভারি ক্লাস- এটি ২০১৭ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসে। এটি একটি ইন্দো-ফরাসী সাবমেরিন। এই গোত্রীয় সাবমেরিন মাত্র দুটি ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *