নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকা এবং রাশিয়া যে চিরশত্রু তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। আর এই কথা জানেনা এমন খুঁজে পাওয়াও বেশ মুশকিল। তবে এমন কিছু জিনিস আছে তা তারা চুক্তি করেই করে থাকে। এই দুই দেশের হাতে পৃথিবীর ৯০ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। অতয়েব বুঝতেই পারছেন যে যদি কোনও সময় এই দুই দেশের যুদ্ধ বাধে তাহলে সারা পৃথিবী ধ্বংস হতে বেশী সময় নেবনা। তবে আমেরিকা বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র রাশিয়ার থেকে ক্রয় করেছে বা কোনও কোনও সময় রাশিয়ার তৈরি করা অস্ত্র অন্য দেশের থেকে ক্রয় করেছে কিছু সময় রিসার্চের কাজে লাগানোর জন্য আবার কিছু সময় তাদের আর্মির ট্রেনিং এর জন্য।
মিগ ২৯। এমন এক যুদ্ধবিমান যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ এর উপর দেশ এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। তবে ভারতবর্ষের নৌসেনার হাতে থাকা ভ্যারিয়েন্টটি কে সবথেকে বেশী ধ্বংসাত্মক বলা হয়ে থাকে। আর এই যুদ্ধবিমানটি তৈরি করেছে মিগ।
১৯৭০ এর দশকে এয়ার সুপিরিওটি যুদ্ধবিমানের জন্য রাশিয়ার দুই যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা মিগ এবং সুখই মিলে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানটি আকাশ থেক ভুমিতে হামলা করার ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার।
১৯৭০ এর দশকে তৈরি হলেও যুদ্ধবিমানটির বেশ কিছু অত্যাধুনিক ক্ষমতা রয়েছে। এর একটি ভার্সন ভারতবর্ষের নেভির জন্য ব্যবহার করা হয়, এবং সেই ভার্সনটি আরও অত্যাধুনিক করার চিন্তা করা হচ্ছে।পাশাপাশি এই যুদ্ধবিমানটি আমেরিকা ক্রয় করেছিল বিভিন্ন স্বার্থে, তার মধ্যে একটি হল যে এই যুদ্ধবিমানটি আমেরিকার পাইলটদের ট্রেনিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যুদ্ধবিমানটিতে অত্যাধুনিক রেডার, জ্যামার সহ পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
১৯৭৭ সালে প্রথম উড্ডয়ন করে যুদ্ধবিমানটি এরপর ১৯৮২ র দিকে সার্ভিসে আসে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ এর উপর এই যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়েছে। ইরান, আমেরিকা, ভারতবর্ষের মোট ৩০ এর উপর দেশের হাতে রয়েছে এই যুদ্ধবিমান। দীর্ঘ ৪ দশক ধরে এই যুদ্ধবিমানটি বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী ক্রয় করছে। ১ জন ক্রিউ নিয়ে প্রায় ৭০০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। ২৪০০কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে প্রায় ৫৯০০০ ফুট উচ্চতা থেকে আক্রমণ শানাতে পারে। এছাড়াও যুদ্ধবিমানটি ৬৫০০০কিমি/ ঘণ্টার গতিবেগে উপরে উঠতে সক্ষম।