ফিলিপিন্সের এই নতুন চুক্তি হওয়ার ফলে কি দক্ষিণ চীন সাগরে আরও একঘরে হয়ে পড়ল চীন?

ফিলিপিন্সের এই নতুন চুক্তি হওয়ার ফলে কি দক্ষিণ চীন সাগরে আরও একঘরে হয়ে পড়ল চীন?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের সাথে চীনের সংঘাত কিছুটা প্রশমন হলেও চীনকে বিশ্বাস করা যায়না। আর সেই কারনে কোনোরকম কমতি রাখতে চাইছে না ভারত। আর সেই কারনে এবার শুধু স্থলে নয় জলেও যথেষ্ট চাপে ফেলতে চাইছে লাল ফৌজকে। আর সেই কারনে ভারত-চীন উত্তেজনার মধ্যেই ফিলিপিন্স এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভারত দক্ষিণ চীন সাগরে নেভিগেশন অ্যক্টিভিটিতে আগ্রহী। ফিলপিন্স এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডেলফিন লরেনজানা এক সাক্ষাৎকারে জানান যে দক্ষিণ চীন সাগর সব দেশের জন্য খোলা, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ফিলিপিন্সের সাথেও দীর্ঘদিন ধরে চীনের ঝামেলা রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করছে, ভারত ও আসতেই পারে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ফিলিপিন্স প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো ডুটারে এক বৈঠকে ঠিক হয় যে দক্ষিণ চীন সাগরে ভারত ফিলিপিন্স এর সাথে স্ট্রাটেজিট পার্টনারশিপ গড়ে তুলবে। আগেরবছর আমেরিকা, ভারত ও ফিলিপিন্স নেভি যৌথভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে এক্সরাইজ করে। আমেরিকা বহু পূর্বেই দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতকে আমন্ত্রন জানিয়েছিল। তবে এর আগে ভারত দক্ষিণ চীন চীন নিয়ে কোনদিন আগ্রহ দেখায় নি।

বেশ কিছু মাস ধরে চীনের বিরুদ্ধে একাধিক প্রসঙ্গ জোরাল হচ্ছে, পাশাপাশি চীন একাধিক আর্থিক ক্ষতির মুখও দেখছে। ডোকলাম ইসু থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপে ইলেকশন, গালওয়ান ভ্যলি, LAC তে তিনগুন খরচ পাশাপাশি চীনের ৫৯ টি অ্যাপ ব্যান, দেশের বড় বড় চুক্তি থেকে চাইনিজ কোম্পানি গুলোকে যুক্ত না করা। করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে WHO তে চীনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া এবং তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের শপথে রুলিং পার্টির দুজন এমপি পাঠানো।  দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের নতুন করে কার্যকলাপ শুরু করতে যাওয়া অর্থাত শেষ ৫ বছর থেকে বিভিন্ন ইসু তে ভারত সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে গেছে যা কোনদিন চীন ভাবতেও পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *