নিউজ ডেস্কঃ জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে যে রিপোর্ট বের হয় , তা অনুসারে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় আর্মি হল ভারতীয় আর্মি। এই মুহূর্তে ভারতের কাছে ১.৪ মিলিয়ন আর্মি রয়েছে।বহু বছর ধরে প্রথম স্থান অধিকার করে থাকা চীনা আর্মি তাদের শক্তি দুই মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ,এক মিলিয়নেরও কম করে নিয়ে এসেছে ২০২০ তে। কিন্তু কারন টা কি ?
১৯৮৫ থেকেই চীনা সেনাবাহিনী তে আওয়াজ উঠে আসছিল,তাদের সেনাবাহিনীকে আরো আধুনিক করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু এত বৃহৎ জনবলের একটি আধুনিক সেনাবাহিনী বানানো মুখের কথা নয়। অবশেষে ২০১৫ সালে চীনের রাষ্ট্রপতি শী জিংপিং ঘোষনা করে যে তারা তাদের মিলিটারি পার্সোনাল শক্তি কমাতে চলেছে। বদলে তারা তাদের নৌবাহিনী, বায়ুসেনার দিকে নজর দিতে চলেছে। যেখানে তাদের সাইবার ও স্পেস পাওয়ার বৃদ্ধির কথাও ছিল। এরপর সর্বপ্রথম ২০২০ এর জানুয়ারিতে চীনা সরকার নিয়ন্ত্রিত জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানায় যে চীনা আর্মি তাদের ফোর্সের ৫০% কমিয়ে ফেলেছে। আর বর্তমানে সংখ্যাটা নয় লক্ষ আশি হাজারে দাড়িয়েছে।
ভারত বহু বছর ধরে চীনা আর্মির এই আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া লক্ষ্য করে আসছে,কিন্তু বহু বছর ধরে আর্মি নিজেদের জন্য আধুনিকতার কথা মাথায় আসেনি। তবে ২০১৫ তে নরেন্দ্র মোদী সরকার এসে, প্রথমেই সেনাবাহিনীর জন্য যে কাজটি করে তা হল সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ। যার ফলে বিগত পাঁচ বছরে নতুন আধুনিক হেলমেট,বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, অ্যাসল্ট রাইফেল সহ বহু ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চেহারা পাল্টে গেছে।
আর্মি চীফ বিপিন রাওয়াত সর্বপ্রথম ভারতীয় আর্মির সংখ্যা কমানোর কথা বলেছিলেন। এই বিষয়ে আর্মির ভিতরে চারটি ভিন্ন ভিন্ন স্টাডি করা হয়। স্টাডি অনুসারে ভারতীয় আর্মি আগামী পাঁচ বছরে দেড় লক্ষ জনবল কমাতে চলেছে। যদিও ভারত সাইবার এবং স্পেসে আমেরিকা,রাশিয়া,চীন থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তবুও বিগত কয়েক বছরে সরকারের নেওয়া কতগুলি স্টেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আর্মির আধুনিকিকরনের জন্য। ফলস্বরূপ ভারতীয় সামরিক বাহিনীর জন্য সাইবার ও স্পেস কমান্ড গঠন করা হচ্ছে।