দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কতসালে হাতে পাবে ভারতবর্ষ?

দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কতসালে হাতে পাবে ভারতবর্ষ?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের হাতে যে একাধিক দেশীয় যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০৩০ র মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তির তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের বিমান ভারতের বায়ুসেনায় দেখাযেতে পারে।

ভারতীয় বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর জন্য তিনট বড় যুদ্ধবিমান আসতে পারে। যদিও বেশ কিছু জিনিস এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে

১/ 5.5th Gen Stealth fighter AMCA ডেভেলপমেন্টের জন্য ডিআরডিও, হ্যল এবং একটি প্রাইভেট কম্পানি যৌথ ভাবে কাজ করবে।

২/ আমকার প্রথমিক ডিজাইন শেষ। তেজস মার্ক-২ এবং আমকা দুটোই ভারতের কাছে প্রধান্য পাচ্ছে। কারন চতূর্থ প্রজন্মের ফাইটার তেজস থেকে এক লাফে পঞ্চম প্রজন্মে গেলে অনেক কিছুতে খামতি থাকতে পারে। তাই মিডিয়াম ওয়েট যুদ্ধবিমান ফাকা স্থান পুরন করবে। যেমন আমেরিক পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ এর সাথে এফ-১৫ ও সুপার হর্নেট ব্লক-৩ ক্রয় করছে।

৩/ আগামী ৪বছরের মধ্যে আমকার প্রোটোটাইপ রোল-আউট হবে।

৪/ একই ভাবে ৩-৪বছরের মধ্যে ভারতের নৌবাহিনীর জন্য তেজসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি দুই ইঞ্জিনের TEDBF, মিডিয়াম ওয়েট ফাইটার ও আমকা একে একে রোল আউট হবে। প্রথমে মিডিয়াম ওয়েট ফাইটার তারপর TEDBF ও তারপর আমকা রোল আউট হবে।

৫/ গুরূত্বপূর্ণ পয়েন্টঃ তেজস কখনও নেভির জন্য ছিলই না। এটা সর্বদা টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর ছিল ক্যরিয়ার ল্যন্ডিং বিষয়ে বোঝার আর শেখার জন্য। তাই এখন ভারতবর্ষের লক্ষ TEDBF(twin engine deck based fighter)। যা আগামী ৬-৭বছরে সার্ভিসে আসবে। আর এত দাম এবং সময় বৃদ্ধি পাবে না কারন যুদ্ধবিমান ডেভেলপমেন্টের প্রথম সিড়িটা সব থেকে লম্বা হয়। তারপর ফাইটার তৈরির সমস্ত জ্ঞান এসে গেলে পরবর্তী প্রোজেক্ট গুলো দ্রুত সম্ভব হয়। সেই কারনে তেজস প্রায় ৩০বছর লেগেছিল (আসলে ২৪বছর)। একই ভাবে ধ্রুব ডেভেলপমেন্টে সময় লেগেছিল। কিন্তু তারপর ভারত দ্রুত LUH(লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার) & LCH(লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার) তৈরি করেছে।

৭/ ভারতবর্ষের প্রোডাক্সান রেট ১০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ হচ্ছে। তা হলে ভারতের প্রোডাক্সান রেট ১৬ থেকে ২০ তে বৃদ্ধি করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *