শত্রুপক্ষের ওয়ারলেস কমিউনিকেশান, স্যটেলাইট লিংক ও রেডারকে ধ্বংস করতে অত্যাধুনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহারের পথে ভারতবর্ষ

শত্রুপক্ষের ওয়ারলেস কমিউনিকেশান, স্যটেলাইট লিংক ও রেডারকে ধ্বংস করতে অত্যাধুনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহারের পথে ভারতবর্ষ

নিউজ ডেস্কঃ আসতে আসতে যে যুদ্ধের বহ বদলাতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। কারন ভবিষ্যতের যুদ্ধ বহু ফ্রন্টে হবে অর্থাৎ জল থেকে শুরু করে অন্তরীক্ষে। আর তার ফলে এইসকল ব্যবস্থা তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে বহু দেশ। অর্থাৎ জল, স্থল, আকাশ সব জায়গাতে বাহিনী গড়ে তুলছে বহু দেশ। তবে এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অদৃশ্যমান যুদ্ধ। আর তার ফলে আরও এক অতিরিক্ত বাহিনী যুক্ত করতে হচ্ছে বহু দেশকে। ভারতবর্ষের হাতেও রয়েছে এমন বেশ কিছু প্রযুক্তি।

হিমশক্তি ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম। সঞ্জুক্তা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমের সাফল্যের পর এবার ভারতের হিমশক্তি দ্বিতীয় ইণ্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম। বর্তমানে বিশ্বে অদৃশ্যমান যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বহু দেশ। ইলেক্ট্রম্যগনেটিক স্পেক্ট্রাম এর ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি ও পেয়েছে। রেডার এবং কমিউনিকেশন জ্যামিং এর সাথে শত্রুপক্ষের কমিউনিকেশন লিংক হ্যাকিং এর মত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক যুদ্ধে বর্তমানে বিভিন্ন দেশ ব্যাপক পরিমাণে বিনিয়োগ শুরু করেছে।

ভারতের হিম শক্তি ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম হিসেবে মানা হয়।  ১০,০০০ বর্গ কিমি এলাকায় এই সিস্টেম শত্রুপক্ষকে সম্পূর্ণ অকেজ করে দিতে পারে। হিমশক্তি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম মূলত তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।

Electronic support measure

Electronic counter measure

Command system

এই সিস্টেম নিজের ইলেকট্রোম্যগনেটিক স্পেকট্রামের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওয়ারলেস কমিউনিকেশান, স্যটেলাইট লিংক ও রেডারকে জ্যম করার পাশাপাশি শত্রুপক্ষের কমিউনিকেশান লিংককে হ্যক করতে পারে। এর সাথে হিমশক্তি প্যসিভ ট্র্যকিং করতে সক্ষম। অর্থাৎ শত্রুপক্ষের রেডিও এমিশানকে শনাক্ত করে তাকে ট্র্যক করে, যার ফলে শত্রু জানতেও পারে না। যেহুতু এটি এ্যক্টিভ ট্র্যকিং এর মত রেডিও ওয়েভ এমিশান করে না তাই শত্রুর রেডার ওয়েভ রিসিভার থাকে সম্পূর্ন ব্লাইন্ড বা অন্ধ। অর্থাৎ শত্রু জানতেও পারে না যে তাকে ট্র্যক করা হচ্ছে। যেহুতু এই সিস্টেম শত্রুর রেডিও ওয়েভ এমিশানকে শনাক্ত করে তাই স্টেল্থ ফাইটারের স্টেল্থের কোনো গুরূত্বই আর সেখানে থাকে না। তবে রেডার ও কমিউনিউনিকেশান লিংক বন্ধ থাকলে প্যসিভ সেন্সার ও এলিন্ট টার্গেটকে আর শনাক্ত করতে পারে না। সেক্ষেত্রে যুদ্ধে রেডার অফ থাকার সম্ভাবনা কম।

হিমশক্তি একটি ব্যটেল প্রুভেন সিস্টেম। এই সিস্টেমকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। সার্জিকাল স্ট্রাইক ১ এর সময় এই সিস্টেম ব্যবহার করে পাকিস্তানের এয়ার সার্ভেইল্যন্স রেডার TPS-77 (মার্কিন রেডার) জ্যম ও পাকিস্তানের নেটওয়ার্ক সেন্ট্রিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমকে সম্পূর্ন হ্যক করতে সক্ষম হয় ভারত। পাকিস্তান জানতেও পারে নি যে তাদের দেশে ভারতীয় কম্যান্ডো প্যরা ড্রপ হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *