নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাসে আমরা কি সব জানতে পারি? বা সব ঠিক লেখা হয়েছে? বহু সময় এমন অনেক রিপোর্ট বেড়িয়েছে যখন যা প্রমান করেছে যে ইতিহাস বিকৃত হয়েছে প্রচুর সময়। আর তার ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেক কিছু না জানার পাশাপাশি ভুল তথ্য পাচ্ছে। সেভাবে কিছু ক্ষতি না হলেও অনেক কিছুই এখনও পর্যন্ত ভুল পথে গেছে।
ভোলানাথ মল্লিক। ইতিহাসের পাতায় অচেনা অজানা এক ক্ষমতাশালী বাঙালি আমলা। ১৯৫০ সালের দিকে অর্থাৎ কংগ্রেস জমানায় দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে ছিল তাঁর বিরাট ক্ষমতা। আড়ালে থাকতেই পছন্দ ছিল তার। চাণক্য আর শার্লক হোমসের মেশানো চরিত্র। তাঁর পরিবার পরিচয় বা কিছু সেভাবে জানা যায়নি।
উইকিপিডিয়া বা গুগল ঘাঁটলে সেভাবে কোনও ছবি পাওয়া যায়নি। তাঁর নামে সার্চ দিলেই গুগল দেখায় গুপ্তচর সংস্থা র-এর প্রধান রামেশ্বর নাথ কাও আরএন কাও)-এর ছবি এবং তথ্য)। তাহলে ভোলানাথ মল্লিক কে ছিলেন? তাকে নিয়ে আজও রয়েছে প্রচুর রহস্য।
১৯৬২’র যুদ্ধে চিনের অতর্কিত হামলায় বিধ্বস্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এই বাঙালি ইন্টেলিজেন্স অফিসার। জহওরলাল নেহরুর বিশেষ ঘনিষ্ঠ এবং স্নেহভাজন ভোলানাথবাবু তৈরি করলেন লোহা দিয়ে লোহা কাটার যন্ত্র। ঠিক যেন লোহা দিয়ে যাতে লোহা কাটা যায়।
চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে শিক্ষা দিতে তিনি তিব্বতিদের নিয়ে গোপন তৈরি করলেন গেরিলা বাহিনী । এই যন্ত্র তথা বাহিনীর নাম ছিল, এস্টাবলিশমেন্ট টোয়েন্টি টু। কয়েক বছর পরে এর নাম হল, স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (এসএফএফ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় এই বাহিনীকে কয়েক বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র বিশেষ বাহিনী।
লাদাখে এখন এরাই ঘুম উড়িয়েছে চীনের সেনাবাহিনীর। অসহ্য এবং প্রচণ্ড ঠান্ডায় চিনা সেনারা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তখনই অগাস্ট মাসে চিনের হাত থেকে হেলমেট হিল, ব্ল্যাক টপ সহ ছ’টি পাহাড় চূড়া ছিনিয়ে নিয়েছে। সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসে গিয়েছে ভারতের এসএফএফ।এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এসএফএফের তিব্বতি, গোর্খা ও নাগা জওয়ানরা।