নিউজ ডেস্কঃ একটা সময় এমন ছিল যখন ডাকাতরা পূজা আরাধনা করতেন মা কালীর। বিশেষ করে তারা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে। সে সব এখন অনেক প্রাচীর দিনের কথা, তবু রয়ে গিয়েছে নামটা। দাঁইহাটের ৪নং ওয়ার্ডে ডাকাতে কালীপাড়ায় এখনও ঘটা করে হয় ডাকাতে কালীর পুজো। কয়েক বছর আগে কালীর কংক্রিটের মন্দিরও তৈরি করেছে স্থানীয়রা।
একটাসময় এই ডাকাতদেরই বাস ছিল এই স্থানে। তাদের দ্বারাই পূজিত হতেন এই দেবী। অমাবস্যার রাতে কালীর পুজো করে ডাকাতি করতে বেরত ডাকাত দল। ডাকাতির পর তারা যা নিয়ে আসতেন তার অর্ধেক তারা নিজেদের কাছে রাখতেন আর অর্ধেক বিলিয়ে দিতেন গরীব অসহায় মানুষদের মধ্যে। কিছু সূত্রের মতে সেই ডাকাতকুলের বংশধররা নাকি আজও রয়েছেন এই মন্দিরেরই আশেপাশে। যদিও, তাঁরা কেউই সে পরিচয় সেভাবে দেন না। যুগের সঙ্গে তাঁদের পেশা পাল্টে গেছে। স্থানীয়রা জানান প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে।
যদিও এখনও সেই পুরোনো রীতি মেনেই পুজো করা হয়ে থাকে। দেবী এখানে দক্ষিণা কালী রুপে পূজিত হন। পুজো হয় তন্ত্র মতে। এলাকার প্রবীণরা জানান যে তাঁদের ছোটবেলাতেও গভীর রাতে ডাকাত দল পুজো করতেন মা কালীর। রাতে ধুপধুনোর গন্ধ আসত বেদির কাছ থেকে। সকালবেলা দেখা যেত যে রাতে কিছু মানুষ পুজো করে গিয়েছে, আর তার ফুল ও প্রসাদ পড়ে থাকত। এখন ডাকাতরা পুজো না করলেও প্রতি বছর ধুমধাম করে এই ডাকাতি কালীর পুজো করে থাকেন স্থানীয়রা। পুজো ঘিরে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও করা হয়ে থাকে। বহু মানুষ সমবেত হন এই কালীর পূজা দেখতে। পুজোর ভোগ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও মানুষেরা আসেন এই ডাকাতে কালীর পুজো দেখতে।