নিউজ ডেস্কঃ ভারতের বায়ুসেনার হাতে একাধিক অত্যাধুনিক বম্ব রাখা আছে যুদ্ধবিমান গুলির জন্য। পাশাপাশি ভারতের হাতে রাফালের আসার পর বিশেষ কিছু বম্ব অর্ডার করা হয় যুদ্ধবিমান গুলির জন্য।
AASM Hammer এবং Spice-2000 ভারতীয় বায়ুসেনার সবচেয়ে শক্তিশালী গাইডেড পেনিট্রেশন বম্ব। এগুলো দিয়ে মূলত শত্রুর শক্তিশালী বাঙ্কার এবং স্থাপনাকে ধংস করে নিখুত ভাবে। এই দুই ধরনের অস্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য হল–এগুলি দিয়ে স্ট্রাইক চালানোর স্থানটিকেই সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট করা হয়,তার আশেপাশের অঞ্চলের কোন ক্ষতি হয় না। ফ্রান্স এবং ইসরায়েল উভয়ই এই অস্ত্র দিয়ে মধ্য প্রাচ্যে ব্যপক হারে জঙ্গি নিধন করেছে। এদের উভয়েরই রেঞ্জ ৬০-৭০ কিলোমিটার।
এবার একটা প্রশ্ন উঠতে পারে যে,যেহেতু উভয়েই একই কাজ করে,তাহলে দুই ধরনের যুদ্ধাস্ত্র রাখার দরকার টা কি ?
আসলে ভারতীয় রাফালের জন্য যে হ্যমার গুলি অর্ডার করা হয়েছে,সেগুলো এমার্জেন্সী পারচেজ। ২০১২ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ এ করে এই দুই ধরনের বম্বেরই ট্রায়াল চালানো হয়। ট্রায়ালে উভয়েই পারফরম্যান্স ভালো হয়। বায়ুসেনা Spice-2000 কে বেছে নেয়। কারন একটাই,স্পাইসের বিপরীতে হ্যমারের দাম প্রচুর। যেখানে প্রতিটি স্পাইস এর দাম ভারতীয় টাকায় প্রায় বত্রিশ লক্ষ টাকা,অন্যদিকে প্রতিটি হ্যমারের দাম সত্তর লক্ষ টাকা।
ভারতীয় রাফালের জন্য স্পাইস বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু ভারত ফ্রান্স থেকে দ্রুত রাফালে নিয়ে এসেছে,তাই ডাসল্ট ভারতীয় রাফালতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার পরিবর্তন করতে পারেনি,যেখান থেকে ইসরায়েলি স্পাইস বম্ব ব্যবহার করা হবে।
ভারতীয় রাফালেতে ফ্রান্সের টার্গেটিং পড TALIOS এর বদলে ইজরাইলি LITENING পড ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত ইজরাইলি পডের দাম ফ্রান্সের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এই পড গুলি দিয়েই মূলত হ্যমার অথবা স্পাইসের মতো বম্বকে গাইড করা হয়। দ্রুত ভারতের হাতে চলে আসায় ভারতীয় রাফালের প্রথম পাঁচটি রাফালে তে ভারতের চাহিদা মত যে পরিবর্তন এর কথা ছিল তা করা সম্ভব হয় নি। ভারতীয় স্পেসিফিকেশন এর রাফালে এর পরে আসবে। নতুন রাফালে গুলিতে কোন দেশের পড রয়েছে তা দেখার বিষয়।