ওয়েব ডেস্কঃ আজকাল অনেক মানুষ বার্ধক্য সমস্যায় ভোগেন। বয়েস না হলেও খাদ্যাভ্যাস বা অল্প বয়সেই অনেকসময় বাতের সমস্যায় ভোগেন। আর সেই কারনে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে বিভিন্ন ডাক্তার, কবিরাজের পেছনে পরে থেকেও কোনও লাভ হয়না। আবার অনেকে এই সমস্যা কাটাতে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। অনেকের জানাই নেই যে রসুনের মতো জিনিস এই সমস্যা চট করে সারিয়ে তুলতে পারে। খুব অল্প সময়েই এর থেকে উপকার পাওয়া যেতে পারে। কিছু নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে রসুন সেবনে একাধিক রোগ থেকে সহজেই উপকার পাওয়া যেতে পারে।
রসুন মেধা , স্মৃতি , বল ও আয়ুবর্ধক। চোখের জ্যোতি ঠিক রাখে। পুরুষের শুক্র ধাতু বাড়ায় । নারীর সন্তান আসার পথ সুগম করে। যুবতীর অঙ্গ সৌষ্ঠবের সমতা রক্ষা করে । কিশোরের শরীর ও মনের উন্নতি করে।
১/ সরষের তেল রসুন ভেজে সেই তেল মালিশ করলে বাতের যন্ত্রণা কমে।
২/ অনেক সময় দেখা যায় খাচ্ছে অথচ চেহারার সেভাবে উন্নতি হচ্ছে না, বরং অবনতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে ১-২ কোয়া রসুন বেটে এবং এক পোয়া দুধ পাক দিয়ে সেটা খেলে (বেশ কিছুদিন) ওজন বেড়ে যাবে।
৩/অল্প গরম দুধের সঙ্গে ১-২ কোয়া রসুন বাটা খেলে শুক্র তারল্য হয় না ।
৪/ যৌবন চলে যাচ্ছে কোন রকমের ধরে রাখা যাচ্ছে না এক্ষেত্রে ২ কোয়া রসুন গাওয়া ঘিয়ে ভেজে মাখিয়ে খেতে হবে। খাওয়ার পরে একটু গরম জলে খেতে হবে । এছাড়া আটার সঙ্গে রসুন বাটা মিশিয়ে রুটি বা লুচি করে খাওয়া যায় অথবা ছাতুর সঙ্গে একটু ঘি চিনি ও একটু রসুন বাটা মিশিয়ে খেলেও হয় ।
৫/ সর্দি হয় না অথচ মাথা ধরে। এক্ষেত্রে ১-২ ফোঁটা রসুনের রস নস্যির মতো নাকে নিলে মাথা ধরা কমে।
৬/ রোগা বাচ্চা , গায়ে মাস নেই। এক্ষেত্রে ভাতের সঙ্গে টাটকা ঘোল ও আধখানা বা চতুর্থাংশ ভাগ রসুন কিছুদিন খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
৭/পেটে অনেক সময় বায়ুর উপদ্রব হয়। এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা জলে ২-৫ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে খেলে এটা চলে যায়।
৮/ রসুনের মধ্যে জীবাণুনাশ করার ক্ষমতা আছে । একটা গোটা রসুন থেঁতো করে ঘরে রেখে দিলে ঘর জীবাণুমুক্ত থাকে।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
১/ ঋতু , বয়স এবং অভ্যাস অনুসারে রসুনের মাত্রা ঠিক করতে হবে । প্রথমে অল্প করে শুরু করে সহ্য অনুযায়ী পরে মাত্রা বাড়াতে হবে। এখানে যে মাত্রাগুলি দেওয়া হলো প্রথম থেকে যে সেগুলি দিয়েই শুরু করতে হবে তা নয়।
২/ রসুন খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেকে খেতে পারেন না গন্ধের জন্য। রসুনের কোয়ার খোসা ছাড়িয়ে আধখানা করে কেটে আগের রাতে দই এ ভিজিয়ে রাখলে গন্ধ থাকে না। এছাড়া ঘিয়ে ভেজে শাক কিংবা তরকারির সঙ্গে অথবা মাংস বা দই এর সঙ্গে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়।
৩/রসুন মাছের সঙ্গে বা কাঁচা দুধের সঙ্গে খেতে নেই এতে রক্ত দূষিত হয়।