নিউজ ডেস্কঃ চীনের বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে যে ভারতবর্ষ পিছুপা হবেনা তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। আর সেই কারনে সীমান্তে ইতিমধ্যে ভারী অস্ত্র সম্ভার থেকে শুরু করে মিসাইল, যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে।
চীনের বিরুদ্ধে ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লং রেঞ্জ সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল নির্ভয় মোতায়েন করেছে। ভারতীয় অস্ত্রের এত দ্রুত কাজ খুব কম দেখা গেছে। প্রথমে অস্ত্র বিভিআর এর অর্ডার তারপর গরুদা প্রেসেশিয়ান গাইডেড বোম্ব এর ইন্ডাক্সান তারপর আজ ডিআরডিও এর তৈরি SAAW এর চুক্তি পরিষ্কার করলো প্রতিরক্ষামন্ত্রক এরপর সব থেকে বড় চমক নির্ভয় সাবসনিক ক্রুজ মিসাইস মোতায়েন করা সম্পন্ন হয়েছে।
নির্ভয় সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল ১০০০কিমি রেঞ্জের যা শত্রুর রেডার থেকে বাচতে ১০০মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম তার পরীক্ষা ইতিমধ্যে একাধিকবার ভিতরে ভিতরে সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারই মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এর অনুমোদন করে ক্যবিনেট কমিটির অনুমতি নিয়ে তৈরি শেষ করে চীনের বিরুদ্ধে ভারত মোতায়েন সম্পন্ন করেছে। এর ফলে ভারত এখন বিমানবাহিনী ছাড়াই ল্যন্ড থেকে তিব্বতের অনেক ভিতরে স্ট্রাইক করতে সক্ষম হবে। নির্ভয় এই অঞ্চলে ব্রাহ্মোসের থেকেও বেশি কার্যকর হবে।
প্রথমত নির্ভয় একটি সাবসনিক লো ফ্লাই ক্রুজ মিসাইল। যেখানে ব্রাহ্মোসকে নিজের গতীর ওপর নির্ভর করতে হয় সেখানে নির্ভয়ের মূল অস্ত্র হল এর পাহাড়ের ঢালে নিজেকে লুকানোর ক্ষমতা। গতী বেশি হওয়ায় ব্রাহ্মোসের ম্যনুয়েভার কম। কিন্তু নিজের উইং থাকায় সহজে লো ফ্লাই ও ম্যনুয়েভারের সাথে শত্রুর থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে। পাহাড়ি অঞ্চলে এই ধরনের মিসাইলের সুবিধা বেশি। উল্টো দিকে সমভূমি ও সমূদ্রে, যেখানে লুকানোর জায়গা নেই সেই অঞ্চলে ব্রাহ্মোস বেশি এফেক্টিভ। কারন লো ফ্লাই করেও যখন সাবসনিক মিসাইল ধরা পরবে তখন একে ডিফেন্ড করা অনেক সোজা হবে আর শত্রু পক্ষের কাছে সময় থাকবে ডিফেন্সিভ হওয়ার। ব্রাহ্মোস সেই সময় দেবে না।
দ্বিতীয়ত নির্ভয়ের রেঞ্জ বর্তমান ব্রাহ্মসের থেকে বেশি। তাই অনেক দুরে থাকা চীনের টার্গেট গুলো ভারত হিট করতে পারবে।
নির্ভয়ের দাম অনেক কম ব্রাহ্মোসের তুলনায়। চীনের বিরুদ্ধে একাধিক নির্ভয় ভারত মোতায়েন করতে পারবে। এভবেই ভারতকে ধিরে ধিরে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে বল বিশেষজ্ঞদের।