বিদেশ নয়, দেশীয় প্রযুক্তির অস্ত্র ই কাঁত করতে সক্ষম চীনকে

নিউজ ডেস্কঃ কিছু অস্ত্র আছে যা ছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। ঠিক তেমনই হল ATGM। ATGM বা অ্যন্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল যুদ্ধক্ষেত্রে এক বিরাট ভূমিকা পালন করে। এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, দেশি এবং বিদেশী দুই ধরনের ই রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে।

হেলিনাঃ হেলিনা ও স্যন্ট মূলত DRDO এর তৈরি নাগ ATGM এর এয়ার লঞ্চড ভার্সন। এটি একটি তৃতীয় প্রজন্মের ATGM. এর রেঞ্জ মূলত ৭-৮ কিমি, এর ব্যবহার ট্রায়াল শেষ হবে ২০২০ তে।

স্যান্টঃ হেলিনা ATGM এর আপগ্রেডেড ভার্সন হচ্ছে এই স্যন্ট। এতে একটি নতুন অ্যক্টিভ রেডার হোমিং সিকার ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর রেঞ্জ ১৫-২০ কিমি যা হেলিনার দ্বিগুণ। তবে এটিও তৃতীয় প্রজন্মের।

হেলিনা ও স্যন্ট এর ইউনিট কস্ট ৩.২-৩.৫ কোটি টাকা। তবে উভয় এর গতিবেগ ৮২৮ কিমি / ঘন্টা।

এবার আসা যাক বিদেশী ATGM সম্পর্কে।

MBDA  PARS 3LR: MBDA এর তৈরি এই ATGM টি তৃতীয় প্রজন্মের এবং এর রেঞ্জ ৭ কিমি। এর গতিবেগ ১০৪৪ কিমি/ ঘন্টা।

Spike- ইসরাইলের রাফালের অ্যডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের তৈরি এই স্পাইক ATGM এর অনেক ভার্সন আছে।

Spike-ER :– এর রেঞ্জ ৮ কিমি।

Spike-ER II :– ২০১৮ তে তৈরি হয় এই স্পাইক ERII , এর রেঞ্জ ১৬ কিমি। তবে এ দুটিই চতুর্থ প্রজন্মের। এদের দাম ইউনিট প্রতি ১.৪ কোটি টাকা।

Spike NLOS:– ইসারাইলের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের ATGM হচ্ছে এই Spike NLOS. এর রেঞ্জ প্রায় ৩২ কিমি। এর পিন পয়েন্ট অ্যকুইরেসির জন্য বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ATGM এটি এই মুহূর্তে। এর প্রতি ইউনিটের দাম ১.৬২ কোটি টাকা।

AGM 114 হেলফায়ার- আমেরিকার লিজেন্ডারি এই হেলফায়ার মিসাইল শত্রুর রাতের দুস্বপ্ন। বহু যুদ্ধে এই মিসাইল পরীক্ষিত। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অ্যাটাক হেলিকপ্টার অ্যপাচি তে এবং শ্রেষ্ঠ ড্রোন MQ-9 রিপার বা প্রিডেটরেও এই মিসাইল ব্যবহার করা হয়। এর গতিবেগ অত্যন্ত বেশী প্রায় ১৬০০ কিমি/ঘন্টা। এর ইউনিট প্রতি মূল্য ৫৬ লক্ষ টাকা। ভারতের অ্যপাচিতেও এই মিসাইল ব্যবহার হয়। ইরানের জেনারেল কাশেম সুলেমানি কে আমেরিকা হত্যা করে এই হেলফায়ার মিসাইল দিয়েও।

সুতরাং উপরের সমস্ত মিসাইলের মধ্যে ইসরাইলের Spike NLOS ও হেলফায়ার কে এগিয়ে রাখেন বেশ কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ। কারন DRDO এর হেলিনা বা স্যন্ট এখনও পর্যন্ত তৃতীয় প্রজন্মের, কিন্তু ইসরায়েলের Spike NLOS পঞ্চম প্রজন্মের। ভারতীয় সেনা LOC তে স্পাইক ব্যবহার করে সুতরাং আর্মি জানে স্পাইক কি করতে পারে। সবচেয়ে বড় জিনিস একটা হেলিনা বা স্যন্ট এর দাম যেখানে প্রায় ৩.৫ কোটি টাকা সেখানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ Spike-NLOS এর দাম ১.৬ কোটি এবং হেলফায়ার এর দাম ৫৬ লক্ষ্য টাকা। একটা স্যন্ট এর দামে ২ টো NLOS বা ৬ টা হেল ফায়ার ক্রয় করা যায়। হেলফায়ার এই স্পিড স্যন্ট এর দ্বিগুন। আবার NLOS এর রেঞ্জ স্যন্ট এর দ্বিগুন এবং হেলিনার চারগুন কিন্তু দাম অর্ধেক। NLOS এতই অত্যাধুনিক যে এটা আমেরিকাও ক্রয় করতে চলেছে যা তাদের অ্যপাচি হেলিকপ্টারে ইনস্টল করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *