নিউজ ডেস্কঃ কোনোদিন ভেবে দেখেছেন যে কেন ভারতীয় সেনাকে একমাত্র প্রফেশনাল সেনা বলা হয় পৃথিবীর। কেন এতো সুযোগ থাকতেও শত্রুপক্ষকে অতর্কিতে হামলা না করে তার প্রত্যুতর দিতে পছন্দ করে?
১৯৬৫ সালে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান কে কঠিন জবাব দিতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে। পাকিস্তান ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ শুরু করে কাশ্মীর দখলের উদ্দেশ্যে, তারা যুদ্ধটা চেয়েছিল শুধুমাত্র কাশ্মীর ফ্রন্টে লড়ার জন্য। কিন্তু ভারতীয় আর্মি সার্বিকভাবে যুদ্ধ শুরু করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
আর ফলস্বরূপ ……….
পাকিস্তান আর্মি যেখানে কাশ্মীরের মাত্র ৫৪০ বর্গ কিলোমিটার জায়গার দখল নেয় (যেহেতু তারা ঐ অঞ্চলেই প্রথমে আক্রমণ শুরু করে), বিপরীতে ভারতীয় সেনা তার জবাবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব, সিন্ধ এবং অধিকৃত কাশ্মীর সহ মোট ১৯৩০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা দখল করে নেয়। ভারতীয় আর্মি পাকিস্তানের লাহোর পর্যন্ত পৌছিয়ে যায়।
ভারতীয় আর্মির যেখানে ৯৭ টি ট্যাঙ্ক ধংস ও দখল হয়, বিপরীতে পাকিস্তানের ৪৫০ টি ট্যাঙ্ক ধংস ও অধিগ্রহণ করে ভারতীয় আর্মি।
এই যুদ্ধে ভারতের প্রায় ২৮০০ জওয়ান বীরগতি প্রাপ্ত হন, সেখানে পাকিস্তানের প্রায় ছয় হাজার সৈনিক মারা যায়।
ভারতীয় আর্মি মানবতার স্বার্থ রক্ষার্থে তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত পূর্ব পাকিস্তানে হামলা করে নি। যদি ঐ দিন ভারতীয় আর্মি পূর্ব পাকিস্তান (আজকের বাংলাদেশ) এ হামলা করত,তাদের ঠেকানোর মতো কোন ফোর্স সেখানে ছিলই না। সহজেই ভারত পূর্ব পাকিস্তান দখলে নিতে পারত। কিন্তু ১৯৪৭ সালে আলাদা হওয়া পূর্ব বঙ্গের বাঙালিদের ওপর ততদিনে পাকিস্তানের দমনপীড়ন নীতি চলছে, আর সেই জন্যই মূলত পাকিস্তানের এই অসহায় অংশের মানুষদের ওপর ভারতীয় আর্মি হামলা চালায় নি।
১৯৬৫ সালের এই যুদ্ধে জড়ানোর মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ছোট কাধেঁর মানুষ টি। ইনি হলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মহাশয়। তিনিই সেই সময় সমগ্র ইউরোপ-আমেরিকার লাল চোখ উপেক্ষা করে,আর্মি কে আদেশ দিয়েছিলেন পাকিস্তান কে যোগ্য জবাব দিতে। আর তার সেই সিদ্ধান্তে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল ভারত।