নিউজ ডেস্কঃ ভারত সরকার ইতিমধ্যে কার্বাইনের চুক্তি বাতিল করছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খুব ভালোভাবে দেখছে। কারন বর্তমান পরস্থিতিতে আমাদের কাছে যথেষ্ট ভালো দেশীয় অপশান আছে যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্বাইনের চহিদা মেটাতে সক্ষম। হয়তো তা CAR-816 এর মত অত আধুনিক না তবুও সেনার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে ভারতীয় সেনার জন্য সেল্ফ প্রপেল্ড এয়ার ডিফেন্স ক্রয়ের সিদ্ধান্তের বিপরীতে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। বিহোর বা প্যন্তসারের মত সিস্টেমের জন্য ভারতীয় সেনা অনেক দিন থেকেই অপেক্ষা করে আসছে। ভারতীয় সেনার অফেন্সিভ কোরের জন্য এই ধরনের সিস্টেম খুব প্রয়োজন। কারন এর যুদ্ধের ময়দানে সেনাবাহিনীকে শুধু এয়ার কভারেজই দেয়না, পাশাপাশি তাদের সাথে নিজের স্থান পরিবর্তন করতেও সক্ষম। সিস্টেম গুলি খুব দ্রুত নিজের স্থান পরিবর্তন করে ফলে একে আর্টিলারি দিয়ে হিট করাও মুশকিল। ভারতীয় সেনার অফেন্সিভ কোরের জন্য কে-৯বজ্র কেনা হয়েছিল এই একই কারনে। তবে এয়ার কভারেজের বদলে বজ্র ফায়ার সাপোর্ট দেবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনীর পুরো গেম প্ল্যনেই প্রভাব পরবে এমটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
সেল্ফ প্রোপেল্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গান আর স্যামের সাহায্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় সুবিধা দিতো। কারন ব্যটেল ফিল্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতই বেশি এ্যগ্রেসিভ পজিশান নেবে। বারাক বা এস-৪০০ এর মত এয়ার ডিফেন্স গুলি স্ট্যটিক পজিশানে থেকে একটি স্থানে সুরক্ষা দেয়। তারা জায়গা পরিবর্তন করে না সেনাবাহিনীর সাথে। যেটা বড় অসুবিধা। সরকার একদিকে বলছে পাকিস্তান দখলাকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনার কথা। অন্যদিকে বিহোর ডিল ক্যন্সেল করছে। বিহোর পরিবর্তে ভারতের কোনো সিস্টেমই নেই যা সেনাবাহিনীর এই চাহিদা পূরণ করতে পারে। বিহো বা প্যন্তিসারের ক্যননের মত ক্যননই তৈরি করা হয়না ভারতে। পুরো সিস্টেম অনেক দূরের বিষয়। বিহোর চুক্তি বাতিল করার যুক্তি খুজে পাওয়া মুশকিলই না অসম্ভব। এরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।