নিউজ ডেস্কঃ অটল বিহারী বাজপেয়ী যে কতোটা দূরদর্শী ছিলেন তা একাধিকবার প্রমান পেয়েছে সারা ভারতবর্ষের মানুষ। কার্গিল যুদ্ধের পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে দেশের ডিফেন্স বা সামরিক ক্ষেত্রের বিরাট উন্নতি দরকার। বিশেষ করে টেকনোলোজি এবং দেশীয় প্রযুক্তির উপর জোড় দেওয়ার উপর বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। পাশাপাশি সীমান্তে যাতে সেনাদের কোনও অসুবিধা না হয় সেই দিকের উপর বিশেষ নজর দিয়েছিলেন তিনি।
সেপ্টেম্বরেই চালু হতে চলেছে একটি স্ট্রেটেজিক টানেল “অটল” । সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ভারতের হিমাচল প্রদেশে এই স্ট্রেটেজিকালি অত্যন্ত টানেল খোলা হবে বলে খবর। হিমাচল প্রদেশে এই অঞ্চলে টানেলটি ৩,২০০কোটি টাকা খরচে করে তৈরি করা হচ্ছে। টানেল তৈরি কাজ শেষ পর্যায়ে। ৮.৮কিমি লম্বা আর সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৩০০মিটার উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ টানেল।
ভারতের অত্যন্ত দুটো গুরূত্বপূর্ণ অঞ্চল মাণালি এবং লে এর ৪৭৪কিমি দূরত্ব কমিয়ে দেবে। ৮ঘন্টার রাস্তা এবার আড়াই ঘন্টা কম হবে অর্থাৎ ৫.৩০ ঘণ্টায়। ৩ জুন ২০০০সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি এই প্রোজেক্টটি ঘোষনা করেছিল।
অনেক ভৌগলিক চ্যলেঞ্জ ছিল এই টানেল নির্মানে। Border Roads Organisation (BRO) এর অধীনে শেষ খনন প্রকৃয়া শুরু হয় ২০১১সালে । কাজ শেষ পর্যায়ে। টানেলে স্পিড লিমিট থাকবে ৮০কিমি/ঘণ্টা। টানেলটি জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখে ট্রুপ্স ডেপ্লয়মেন্টে ব্যপক গতী অনবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞেরা। সাথে একটি রোড লিংক করা হচ্ছে লাহাউল ও স্পিতি প্রর্যন্ত। যেকোনো আবহাওয়াতে প্রতিদিন ৩০০০ ভেহিকেল যাতায়াত করতে পারবে এই টানেলের মধ্যে দিয়ে।
সেনাবাহিনীর জন্য ভারতের এই নতুন টানেল স্ট্রেটেজিকালি অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ হবে মনে করছেন সেনা অধিকর্তারা। স্বাধীনতার ৭৪বছর পর এমন লিংক তৈরি হচ্ছে এটাও অত্যন্ত লজ্জার। এতো বছর্ব লেগে গেল এমন একটা স্ট্র্যাটেজিক টানেল তৈরি করতে?