ওয়েব ডেস্কঃ আয়ারল্যান্ড এমন এক দেশ যা দেশ বললে ভুল বলা হবে। এটি দুভাগে বিভক্ত এবং এই দেশ জন্ম নেওয়ার থেকেই ইহুদী দেশ ইজরায়েলের বিরোধী। এবং এমন এক দেশ যে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ইজরায়েলকে একটি দেশের স্বীকৃতি দিতে চাইনি। এমনই এক দেশ যে দেশ সর্বপ্রথম সমকামীদের বিয়েকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় এই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও সমকামী। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
আয়ারল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫০ লক্ষ যা সেই দেশের মোবাইলের সংখ্যার থেকেও কম।
আয়ারল্যান্ডের লোকেরা কথা বলতে ভালোবাসে পাশাপাশি তারা পাসের মানুষের প্রতি সর্বদা আগ্রহ দেখায় কথা বলতে। এবং দেশটি সাধারণত ক্যাথোলিক প্রধান দেশ। অর্থাৎ ক্রিস্টান দের বাস।
১৯৮৫ সালে আগে পর্যন্ত এই দেশে কন্ডম কিনতে ডাক্তারের অনুমতি লাগত। ইউরোপ মহাদেশে এমন এক দেশ যেখানে গর্ভপাত করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
যদি কোন সন্তান হয় এবং তাঁর দাদু, দিদা আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী হয় তবে সে এই দেশের নাগরিকত্ব পাবে। সে যেই দেশেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন।
আয়ারল্যান্ডের ৩৬ শতাংশ মহিলারা পরকীয়ায় জড়িত।
এখানকার মেয়েরা গড়ে ১৩ বছর করে একজন পুরুষের সাথে সংসার করেন।
১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই দেশ বিবাহ বিচ্ছেদ বা সমলিঙ্গ বিয়ের বিরোধী থাকলেও এরপর তা বৈধ করে দেওয়া হয়। এবং এই দেশ পৃথিবীর প্রথম দেশ যারা সমলিঙ্গ বিয়েকে বৈধ বলে স্বীকৃত দেয়।
ভৌতিক অনেক কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে আয়ারল্যান্ডের নাম। ভৌতিক উৎসব হ্যালোয়েনের নাম শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে এই দেশেই প্রথম এই উৎসব পালন করা হয়।
এক সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আয়ারল্যান্ডের নারীরা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি উত্তেজক নারী। সেই দেশের নারীদের সৌন্দর্য, কাম এসবের উপর ভিত্তি করেই এই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল।
আয়ারল্যান্ডের দুর্গ বেশ বিখ্যাত। সেই দুর্গ দেখতে বিদেশ থেকে সেখানে প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় করে। আয়ারল্যান্ডে একটি বিচ আছে যেখানে নগ্ন হয়ে স্নান করতে আসে সকলে।
আয়ারল্যান্ডের শুধু সাপ নয় কোন সরীসৃপই নেই। একমাত্র টিকটিকি বাদে।