এখনও ভারতবর্ষের এই কুয়োতে রয়েছে প্রেত আত্মাদের আনাগোনা।

এখনও ভারতবর্ষের এই কুয়োতে রয়েছে প্রেত আত্মাদের আনাগোনা।

সোহিনী সরকারঃ দিল্লি বা পশ্চিমের রাজ্যগুলোতে ঘুরতে গেলে বাউলি শব্দটি তো আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন। এই বাউলি হলো এক ধরনের আয়তাকার কুয়ো তবে তা সাধারণ কুয়োর থেকে আকারে অনেকটা বড় এবং গভীর হয়। বাংলার মত নদীধৌত সমভূমিতে বাউলের কোন প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও  একসময় পশ্চিমের শুষ্ক রাজ্যগুলোতে বাউলিই ছিল জল সরবরাহের প্রধান উৎস।

সব মিলিয়ে এই বাবলি যেন ছিল পাথরের সিঁড়ি  বেষ্টিত এক পুকুর বা কুয়ো। প্রাচীনকালে দিল্লিতে প্রায় শতাধিক বাউলি ছিল। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও এখনো দিল্লিতে বেশ কিছু বিখ্যাত বাউলি রয়ে গেছে। এগুলি তাদের স্থাপত্য শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

তবে এই বাউলি গুলোর মধ্যে বেশ কিছুটা আলাদা হলো অগ্রসেন কি বাওলি। ভারতবর্ষের সবচেয়ে  কুখ্যাত ভৌতিক স্থান গুলির মধ্যে অন্যতম হলো এটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এখানে প্রায়ই শোনা যায় অশরীরী আত্মার আর্তনাদ।রাতের অন্ধকারে বাউলের কাছে গেলেই মনে হয় কেউ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সেখানে,অশরীরী আত্মার উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

দিল্লিতে অবস্থিত অগ্রসেন কি বাওলি নামক এই স্মৃতিস্তম্ভ টিকে নিয়ে গল্পকথারও নেহাত  শেষ নেই ।এখানে অশরীরী আত্মার উপস্থিতির কারণ হিসাবে বেশ কিছু গল্প কথা শোনা যায়। মনে করা হয় যে অতীতে এই স্মৃতিসৌধের ভেতরে থাকা হতে অনেক মানুষকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও অনেকেই নাকি এই বাউলের জলে আত্মহত্যা করেছিলেন। মনে করা হয় সেই সমস্ত অতৃপ্ত আত্মার এখনো অব্দি বিরাজ করে এই বাউলী তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *