হোম কুয়ারেন্টাইনে কিভাবে দিন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী শৌরসেনী মিত্র!

হোম কুয়ারেন্টাইনে কিভাবে দিন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী শৌরসেনী মিত্র!

নিউজ ডেস্কঃ মনোজ বাজপেয়ী, রাজকুমার রাও, নোয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি। নাম গুলি শোনার পর মাথায় আগে কোন শব্দটি আসে বলুন তো? থিয়েটার ব্যাক্তিত্ত্ব! বিরাট ভালো অভিনেতা! ফেমাস তারকা! নাকি চিটাগং। আসলে সবকটি ই ঠিক। তবে আরও একটি জিনিস, তাহল শৌরসেনী মিত্র। নামটা বর্তমানে টলিউডের অন্যতম সেরা নায়িকাদের তালিকায় থাকলেও শুরুটা হয়েছিল এই তিন মহানমাপের বলিউড তারকাদের সাথে। প্রথম ছবি চিটাগং। তারপর আম্রিকা। সেই নিয়ে সবকিছু জানালেন শৌরসেনী।

প্রশ্নঃ দেশের এই সময় অর্থাৎ করোনা পরিস্থিতিতে হোম কুয়ারান্টাইনে কিভাবে দিন কাটাচ্ছো?

নেটফ্লিক্স আর অ্যামাজন প্রাইম দেখে সময় কাটছে। তবে অবশ্যই নির্ভর করে ছবি বিষয়বস্তুর উপর। শুধু তাই নয় পাশাপাশি মাকে রান্নায় সাহায্য করছি। যেমন ধর সবজি কাটা, বাসন মাজা, ঘড় মোছা। এই ফাঁকে একটু ঘরের কাজও শিখে নিচ্ছি(একটু হেঁসে।

জিম বা ওয়ার্ক আউট করছ বাড়িতে!

জিম বা ওয়ার্ক আউট করতে সেভাবে পছন্দ করিনা তবে যেঁটুকু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম দরকার সেটাতো অবশ্যই। তবে হ্যাঁ কিছু দিন সব অবশ্য বন্ধ ছিল মাসেলে একটু ব্যাথা থাকার কারনে। তবে একটু মেডিটেশান করাও আসতে আসতে শুরু করছি।

এই পরিস্থিতি কাটলে প্রথম প্ল্যানিং কি? কোথাও ঘুরতে যাওয়া নাকি ছবির শ্যুট?

ঠাকুমার শরীর খারাপ হয়েছিল তাই কাছে  গিয়ে দেখে আসতে চাই। পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানো। যদিও এপ্রিলে পাহারে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সব ভেস্তে গেল।

প্রথম ছবি চিটাগং সুযোগ কিভাবে পেয়েছিলে?

আমি ছোটবেলা থেকে মডেলিং করি। তো একটা অডিশানের ব্যাপারে জানতে পারি। মা যাওয়ার কথা বলে। অডিশান ও দিয়ে আসি,  তারপর সেভাবে মনেও ছিলনা। হটাৎ দুমাস পরে ফোন আসে।

চিটাগং ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কিরকম?মানে একধিক বড় মাপের অভিনেতারা ছিল, যেমন মনোজ বাজপেয়ীর মতো।

তখন ৯ বা ১০ পরি। মনোজ বাজপেয়ি দারুন একজন মানুষ। ওনার থেকে অনেক কিছু শেখা যেতে পারে। স্ক্রিন শেয়ার না করলেও একটা বিরাট অভিজ্ঞতা। যদিও এই ছবি করার পর সেভাবে অভিনয় জগতে আসার কোনও ইচ্ছা ছিলনা। কিন্তু আম্রিকা করার পর এই প্রফেশানে আসা ইচ্ছা হয়।

সিনথেটিক সাতি হইচই আপ এ আসার আগে বেশ কয়েকটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে(হোয়াইট ইউনিকর্ন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) অ্যাওয়ার্ডে হয়েছে। সে ব্যাপারে কি বলবে? কি আশা আছে এই ছবি নিয়ে?

এই ছবি বেশ ভালো লেগেছিল। ছেলেটির মা আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং অভিনয় করে বেশ ভালো লেগেছিল, প্রথমে সেভাবে না ভাবলেও আসতে আসতে ভালো ফিডব্যাক আসতে শুরু করে।

ভবিষ্যতে কাদের সাথে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে?

যদি কলকাতার কথা বল, তবে অবশ্যই অপর্ণা সেন , কঙ্কনা সেন শর্মা, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এর মতো অভিনেতা বা পরিচলকদের সাথে কাজ করার বেশ ইচ্ছা আছে। তবে স্বপ্ন ছিল সত্যজিৎ রায় এবং ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে কাজ করা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ একটিভ। এখন ঘরে বসে দিনে কত সময় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছো? বা গল্পের বই পরছ?

নর্মাল সময় বন্ধুদের সাথে কথা বলা হয়না, অর্থাৎ যারা আরকি বাহিরে থাকে, তাদের সাথে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা হচ্ছে। ভিডিও কল করে। বেশ ভালোভাবেই দিন কাটাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *