সুমিতঃ ড্রাগ। শব্দটা শুনলেই অনেকেই আমরা চমকে উঠি। কেউ তো আবার আমরা ভয়ও পেয়ে যাই আবার। তবে অনেকেই আমরা হয়ত জানিনা যে এই ড্রাগ ব্যবহার করেই অনেক মারন ব্যাধির ওষুধ তৈরি হয়। তবে এতো মানুষের ভালো করে। আবার এই ড্রাগই আবার কত মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে, কত মানুষকে বেপথে চালনা করেছে।
নেশা এমন এক জিনিস যা প্রতি মানুষেই করে থাকে। কারও বা বই পড়ার, আবার কারও বা সিগারেটের আবার কারও বা অ্যালকোহলের। তবে প্রশ্ন হল যে বই পড়ার নেশা খারাপ নয় সিগারেটের নেশা খারাপ। তবে কেন? নেশা বলতেই তো আমরা খারাপ কিছু বুঝি। তবে বই পড়ার নেশা ভালো আর অ্যালকোহল হলে সেটা খারাপ কেন? আসল ব্যাপার হল নেশা যখন মানুষকে বেপথে চালনা করে এবং যখন মানব সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গিতে তা আর মেনে নেওয়া যায়না। যখন নেশার জন্য মানুষ অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হয়ে পরে তখন নেশাকে খারাপ বলা হয়ে থাকে। আর এই নেশাগ্রস্থ মানুষকে তখন আমরা খারাপ চোখে দেখতে শুরু করি। সমাজের বাইরে ঠেলে দিতে চেষ্টা করি। কোনও সময় ভেবে দেখেছি কি যে মানুষ গুলিকে সুযোগ দিলে কি হত না? মানুষ গুলিকে একবার চিকিৎসা দিলে হত না? বা মানুষগুলিকে কোনও ধরনের থেরাপি দিলে কি সেরে উঠত না? বা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারত না?
ঠিক এরকমই বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা করে এই নেশাগ্রস্থ মানুষদের থিয়েটার থেরাপি দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগি হলেন নাজেল আকারা। নাইজেল মুক্তধারা থেক শুরু করে একাধিক হিট বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে এই নাইজেলই ৯ বছর জেল ফেরত আসামি ছিলেন। তাঁকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়।
ঠিক নাইজেল ও আজ সেই কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। জেল ফেরত একাধিক আসামিকে বিভিন্ন কাজ দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দিতে চান। তবে এবার তিনি এক অভিনব উদ্যোগ নিলেন নেশা গ্রস্থ মানুষদের জন্য। যারা একটা সময় নেশার সাথে জরিয়ে পরেছিলেন এবং রিহাবে গিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, সেসব মানুষদেরকে সাথে নিয়ে নাইজেল এক নতুন নাটক মঞ্চস্থ করতে চলেছেন। অভিজিৎ আনুকামিন এর পরিচালনা এবং মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা এবং কস্টিউম ডিসাইন করেছেন অনুপম চট্টোপাধ্যায়। “বেওয়ারিশ” নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হতে চলেছে ২রা অগাস্ট। কোলাহল থিয়েটারের সাথে আলিয়ানা রিহাব সেন্টারের যৌথভাবে কাজ করছে। যেখানে এই রিহাব সেন্টারের কিছু নেশাগ্রস্থ মানুষকে দেখা যাবে। তবে নাইজেলের এই এই প্রয়াস সত্যি প্রশংসনীয়।