একটা সময় ছিল যখন মানুষ নতুন ছবি দেখতে সিনেমা হল ছাড়া কিছুই বুঝতো না। নতুন ছবি দেখতে হলে সিনেমা প্রেমি মানুষ টিকিট কেটে প্রথম দিন প্রথম শো দেখতে সিনেমা হলে পৌঁছে যেতেন। তবে এখন সময় বদলেছে সিনেমা হলের পাশাপাশি বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্স এসেছে। সেখানে গিয়ে মানুষ ডলবাই ডিজিটাল সিস্টেমে সাউন্ড শোনার পাশাপাশি 7D তে ছবি দেখছে। তবে এবার এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘরে বসে সিনেমা দেখার প্রবনতা, তাও আবার ফুল এইচ ডি, বা আলট্রা এইচ ডি কোয়ালিটিতে। আর এরফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন সিনেমা হল গুলি। একটা সময় ছিল যখন সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ৯০০, আর সেখানে আজ তা দাঁড়িয়েছে ২৫০ তে। অতএব বুঝতেই পারছেন যে সিনেমা হল গুলির কি করুন অবস্থা। কিছুদিন আগেই ঐতিহ্যবাহী দুই সিনেমা হল রথিন্দ্র ২ এবং ইলোরা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেল।
সিনেমা হল গুলি আজ মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে। যারফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে একাধিক সিনেমা প্রোডাকশন সহ আমাদের বাংলার সিনেমা জগত। ভুগতে হচ্ছে একাধিক সিনেমা কর্মীকে। তবে এরমধ্যেই আবারও অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জি এস টি। কারন জি এস টি আসার আগে সিনেমা হল গুলিতে যে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হত, জি এস টি আসার ফলে তা বেশ খানিকটা অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নূন্যতম যে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হত তাও নেওয়া যাচ্ছেনা অনেক জায়গায়। তাই সেই সিনেমা হল গুলিকে বাচাতে এক উদ্যোগ নেয় ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশান পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশান। তারা রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে পুরো ব্যাপারটা জানায়।
রাজ্য সরকার তাতে সারা দিয়ে এই ব্যাপারটা গুরুত্ত্ব সহকারে দেখে এবং ইতিমধ্যেই এক সার্কুলার জারি করেছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে এসি হলে ৫ টাকা, ব্লোয়ার হলে ৪ টাকা এবং পাখা সমন্বিত হলে ৩ টাকা প্রতি টিকিটে সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হবে। যার ফলে আপাতত সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল গুলিকে এই মুহূর্তে মৃত্যু মুখ থেকে বাঁচাল রাজ্য সরকার।