৫০ বছর পূর্তি। শ্রদ্ধার্ঘ্য মহীনের ঘোড়াগুলিকে

৫০ বছর পূর্তি। শ্রদ্ধার্ঘ্য মহীনের ঘোড়াগুলিকে

বাংলা ব্যান্ড। শব্দটা শুনলে সবার আগে যে শব্দটা আমাদের মাথায় আসে তা হল মোহিনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭০ সালে তৈরি হওয়া প্রথম বাংলা ব্যান্ড যা বাংলা তথা ভারতবর্ষের নজর কেড়েছিল সেই সময়।

ফসিলস, ক্যাকটাস, ভুমি বা ধরুন চন্দ্রবিন্দুর মতো ব্যান্ডের গান বর্তমানের ইয়াং জেনারেশানের কাছে অন্যতম প্রিয় গানের তালিকায় পরে। তবে কি বলুন তো আজও যদি “পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে” কোথাও শুনতে পেলে আজকের জেনারেশানের একটা বিশাল অংশ গাইতে থাকে। অর্থাৎ বাংলা ব্যান্ড বাঙালির রক্তে প্রবেশ করিয়েছিল এককথায় “মোহিনের ঘোড়াগুলি”।

১৯৭৫ থেকে তাদের কার্যকলাপ খাতায় কলমে শুরু হলেও ১৯৭০ এ তাদের ব্যান্ড তৈরি হয়। গৌতম চট্টোপাধ্যায় ব্যান্ডটি তৈরি করলেও বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষাল, আব্রাহাম মজুমদার, তাপস দাস, তপেস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বাদ্যকার ছিলেন সেই ব্যান্ডে।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে যে ব্যান্ডের নাম কথা থেকে নেওয়া হল? আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাসের সাতটি তারার তিমিরের থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ব্যান্ডের নাম করন করা হয়। কবিতার লাইনটি ছিল

” মোহিনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে”

১৯৭৫ সালে তাদের খাতায় কলমে পথ চলা। ১৯৮১ পর্যন্ত তারা একসাথে থাকার পর ভেঙ্গে যায় ব্যান্ডটি। তারপর আবার ১৯৯৫ থেকে তারা কাজ শুরু করলেও ১৯৯৯ সালে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে ব্যান্ডটি পুরোপুরি ভাবে ভেঙ্গে যায়। তবে আজও টিন এজ থেকে শুরু করে মধ্যবয়স্কদের সেন্সেশান বললে কম বলা হবেনা এই ব্যান্ড।

এই ব্যান্ডের সামনের বছরই সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। তাই “মোহিনের ঘোড়াগুলি”কে উৎসর্গ করে “রোটারঅ্যাক্ট ক্লাব অফ কলকাতা” আয়োজন করেছিল এক মনোরম এক সন্ধ্যার। যেখানে আজকের যুগের উঠতি ব্যান্ড গুলির পারফরম্যান্স ছিল নজর কাড়ার মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *