মাত্র ৫ দিনেই ছবি তৈরির বাজেট তুলে নিয়েছিল বাজার থেকে। ছবি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৩৫০ কোটি টাকা। আর সেই টাকা বাজার থেকে তুলতে সময় নিল মাত্র ৫ দিন। ইউ ভি ক্রিয়েশান প্রযোজিত সাহুর হাই বাজেটের একটি বড় কারন ছবিতে একাধিক স্টার কাস্টিং। প্রভাস, শ্রদ্ধা, নীল নিতিন মুকেশের মতো তারকারা রয়েছেন এই ছবিতে। ৭ দিনের শেষে আয় হল মাত্র ৩৭০ কোটি টাকা। বিশ্ব জুড়ে ভালো বাজারের আভাস থাকলেও ষষ্ঠ এবং সপ্তম দিনে খুব একটা ভালো ব্যবসা দিতে পারলনা।
ভারতের বাজারে সেইভাবে এখনও ভালো ব্যবসা করার ইঙ্গিত না থাকলেও বিদেশের বাজারে বেশ ভালোই আয় হল তাদের। মঙ্গলবার রীতিমত হতাশ করেছে এই ছবির বাজার। কারন এক ধাক্কায় ৮ কোটি টাকা আয় করেছে এই দিনে। অর্থাৎ ১৪ থেকে ৮। তবে এটি প্রভাসের তৃতীয় ছবি বাহুবলি ১ এবং বাহুবলি ২ এর পর যেটি ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে।
দিন যত বাড়ছে ব্যবসার অবস্থা অর্থাৎ বক্স অফিসে ব্যবসা তত কমে আসছে সাহুর। যেমন তৃতীয় দিনে সব চেয়ে বেশি ব্যবসা করছিল প্রভাস অভিনীত এই ছবি। তবে চতুর্থ এবং ৫ দিনে অনেকটাই কম আয় হল। ষষ্ঠ এবং সপ্তম দিনে আয়ের সুচক আরও নিম্নমুখী। ষষ্ঠ এবং সপ্তম দিনে আয়ের পরিমান হল ৬.৯০ কোটি এবং এবং ৬.৭৫ কোটি। অর্থাৎ দিন যত বাড়ছে আয়ের পরিমান খুব তাড়াতাড়ি কমছে।
প্রথম দিনেই একাধিক রেকর্ড ভেঙ্গে দিতে পারে সাহু। তেমনই আভাস ছিল। একাধিক ট্রেড আনালিসিস্টের মতে অ্যাভেঞ্জারস এবং থাগস অফ হিন্দুস্তানের রেকর্ড ভেঙ্গে দিতে পারত সাহু। তবে তা না হলেও এই মরশুমে ওপেনিং এ বেশ ভালো টাকার ব্যবসা দিয়েছিল। এবং প্রথম দিনের ব্যবসার পর কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে এই ছবি বলা হয়েছিল। তবে তা ভুল প্রমান করে তিন দিনের শেষে প্রায় ৮০ কোটির ব্যবসা দিয়ে ছিল। প্রথম দিনেই ২৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল প্রভাস এবং শ্রদ্ধা কাপুরের এই ছবি। চার দিনে মোট এই ছবির আয় ৯৪ কোটি টাকা।
অ্যাভেঞ্জারস প্রথম দিনে ব্যবসা করেছিল ৫৩ কোটি টকার আর আমির খানের থাগস অফ হিন্দুস্তান একদিনে করেছিল ৫২.২৫ কোটি টাকার।
সাহু প্রথম দিনেই তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৫ কোটি টাকার উপর ব্যবসা দিতে পারে বলে ভেবেছিলেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। শুধু তেলেগু নয় তামিলে ১৫ কোটি এবং মালায়ামে ৫ কোটি টাকার ব্যবসা দিতে পারে। ভারতবর্ষের সব ভাষা মিলিয়ে মোট ৬০-৭০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারে এই ছবি এমনি ভাবা হয়েছিল। তবে তা হয়নি, শুরুতেই নিজেদের প্রত্যাশিত মতো ব্যবসা করতে পারেনি ছবি।
হিন্দি ছাড়াও তামিল ও তেলেগু ভাষায় রিলিজ করেছে এই ছবি। ফলে ছবির মার্কেটিং যে বড় হবে তা বলাই বাহুল্য। এখনই কি হবে তা বলা সম্ভব নয়, তবে বলিউডের একাধিক রেকর্ড ভেঙ্গে দিতে পারে এই ছবি।