হলির সময় বিপদ এড়াতে এই নিয়মগুলি মেনে চলার চেষ্টা করুন

হলির সময় বিপদ এড়াতে এই নিয়মগুলি মেনে চলার চেষ্টা করুন

সুমিত, কলকাতাঃ খেলবো হলি রং দেবনা

তাই কখনও হয়?

এসো এসো বাইরে এসো

ভয় পেয়না ভাই

গানের এই দুকলি লাইন মনে পড়ছে? অবশ্য মনে পড়ারই কথা। বাঙালি বলে কথা। তার উপর আবার বসন্ত উৎসব দোর গোড়ায়। আর এই বসন্ত উৎসবের আবার বিভিন্ন নাম। সারা ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের কিছু অংশ সহ লাতিন অ্যামেরিকা তথা গোটা বিশ্বে এ এক আনন্দের উৎসব। এক এক জায়গায় এক এক নামে মানুষ এই উৎসবকে সেলিব্রেট করে থাকে। কিন্তু এই আনন্দ কিন্তু অনেকের কাছেই নিরানন্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে একাধিক সময়। কারন এই উৎসবে ব্যবহৃত রং বা আবির বা জলের ব্যবহার ভুল পথে করে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রচুর মানুষকে।

তাই এই উৎসবে নিজেকে বাঁচাতে এবং সঠিক পদ্ধতিতে এই বসন্ত উৎসব সেলিব্রেট করতে কিছু নিয়ম বিঁধি মেনে চলার কথা বললেন ফর্টিস হসপিটালের দুই ডক্টর। ডক্টর রঞ্জন চৌধুরী এবং ডক্টর অনুশ্রি গাঙ্গুলি।

হলি বা রং খেলার সময় একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে কেমিক্যাল রং এবং ক্ষতিকর রং থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

যতটা সম্ভব রং বেলুনের থেকে দূরে থাকুন। কারন এর মধ্যে থাকা রং চোখে গেলে তা মারাত্ত্বক ক্ষতি করে।

আপনার যদি স্কিন অ্যালার্জির প্রবলেম থাকে তাহলে রং তো বটেই পারলে আবিরের থেকেও নিজেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।

পাঁচ বছর না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চাদের এই উৎসব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে হার্ভাল কালার্স বাচ্চাদের দিতে পারেন। কিন্তু যতটা সম্ভব দূরে রাখাই ভালো।

কোনোরকম ভাবে চোখে রং বা আবির গেলে তৎক্ষণাৎ জল দিন। এবং যতটা সম্ভব বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

বাচ্চারা রং না ব্যবহার করে আবির দিয়ে খেলার চেষ্টা করাই ভালো।

অনেকসময় ধরে হলি না খেলাই ভালো। এতে ইনফেকশান এবং অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

খেলা শেষ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্নান করে নেওয়া উচিৎ।

যাদের হাপানি বা স্কিনের অসুবিধা আছে তারা এই খেলার সময় নিজেদেরকে একটু যত্ন নিয়ে খেলার চেষ্টা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *