সুমিত, কলকাতাঃ একসাথে ১৬টি কুকুরের বাচ্চার মৃত দেহ দেখে চমকে উঠেছিল কলকাতা সহ গোটা দেশ। এবং সেটা ঘটেছিল কলকাতা শহরেই। তবে তা এখন অতীত। সেই ব্যপার নিয়ে মানুষকে জিজ্ঞাস করলে সদুত্তর পাওয়া যাবেনা। কে করেছিল এই জঘন্য কাজ? কে ই বা ছিল এর পেছনে? তা এখনও সেভাবে পরিস্কার নয়। এতো গেল বাস্তব জীবনের গল্প। আশা যাক ছবির কথায়। এক বেড়াল খুনের ঘটনা নিয়ে ২৯ মার্চ রিলিজ করল নতুন বাংলা ছবি কিয়া অ্যান্ড কসমস।
কিয়া এক কিশোরী। সমাজের ভাষায় আর্টিস্টিক বলা যেতেই পারে। বাকি আর পাঁচটা বাচ্চার থেকে একটু আলাদা। এবং কসমস হল এক বেড়াল। এই কিয়া আর কসমসকে নিয়েই তৈরি কিয়া অ্যান্ড কসমস। কিয়ার খুন হওয়া নিয়েই গল্প। যেখানে কিয়া এক গর্ভবতী বেড়াল। এবং সেই বেড়ালের খুনের পেছনে কারা সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করে কিয়া। এবং একটা কথা খুব স্পষ্ট করে দিয়েছেন পরিচালক সুদিপ্ত রায়, তা হল সমাজের চোখে যেসব বাচ্চাদের আর্টিস্টিক বা একটু আলাদা করে দেখা হয়, তারা যে বাকিদের থেকে একটু বেশি সহজ সরল তা কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে প্রমান করেছেন।
প্রধান চরিত্রে থাকা ঋত্বিকা এবং স্বস্তিকা যথেষ্ট ভালো। এবং সবচেয়ে পসিটিভ দিক হল ছবি দেখতে দেখতে একটুও মনে হলনা যে এখানে ঋত্বিকাকে দেখানো হচ্ছে। কিয়ার চরিত্রকে বেশ ভালো করেই ফুটিয়ে তুলেছে ঋত্বিকা। অর্থাৎ কিয়ার চরিত্রে অভিনয় করা ঋত্বিকা পাল এক কথায় অসাধারন। ছবির প্রচার সেইভাবে থাকলে বা বড় প্রডাকশনের ব্যানার থাকলে হয়ত প্রথম দিনেই সারা ফেলেদিত।