নিউজ ডেস্কঃ কৈলাসকে আমরা শিবের বাসস্থান বলে জানি।তাই মনে করি কে ওখানেই দেবাদিদেব বিরাজ করে। দেবাদিদেব মহাদেব যাকে শাস্ত্র মতে ধ্বংসের দেবতা বলা এবং ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত করা হয়।তাই পুরান থেকেই জানা যায় যে দেবাদিদেব মহাদেব কৈলাসে বাস করেন কিন্তু এই বিষয়টি যুক্তিবাদীরা মানেন না। তারা এই সমস্ত পুরাণকাহিনী কে অবাস্তব বলে মনে করেন কিন্তু এবার আর পৌরাণিক তথ্যে নয় এবার কৈলাস পর্বতে শিবের আবাস তার প্রমাণ দিল গুগোল।
সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে এ গুগল পৃথিবী বিখ্যাত আর ততোধিক বিখ্যাত গুগলের বিশেষ ফিচার গুগল আর্থ গুগোল আর্থ আসলে একটি ভার্চুয়াল গ্লোব পৃথিবীর যে কোন জায়গার অবস্থান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে গুগল আর্থে জুড়ি মেলা ভার স্যাটেলাইট ইমেজারি, এরিয়াল ফটোগ্রাফি এবং জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম এর ভিত্তিতে এই প্রযুক্তি পৃথিবীর যে কোন জায়গার নিখুঁত ও বিস্তারিত অবস্থান ফুটিয়ে তুলতে পারে কিন্তু এবার সেই গুগোল আর্থই কৈলাস পর্বতে খুঁজে পেয়েছে মহাদেবের মুখ।কয়েকজন অভিযাত্রী দিন কয়েক আগে গুগল আর্থে কৈলাস পর্বত সার্চ করেছিলেন সার্চ রেজাল্ট স্বরূপ গুগল আর্থ কৈলাস পর্বতে থ্রি ডাইমেনশনাল ছবি ফুটিয়ে তোলে কম্পিউটারের স্ক্রিনে সেই ভার্চুয়াল কৈলাসে স্ক্রোল করতে করতে হঠাৎ অভিযাত্রীদের নজরে আসে পাহাড়ের একটি সেই ভার্চুয়াল করতে করতে হঠাৎ অভিযাত্রীদের নজরে আসে পাহাড়ের একটি ঢাল থেকে যেন মুচকি হাসি সমেত তাকিয়ে রয়েছেন স্বযং মহাদেব ভালো করে তাকানোর পর দেখা যায় সত্যি যেন বরফঢাকা পাহাড়ের কোল জুড়ে ফুটে রয়েছে বিশাল আকার শিবের মুখ।এই আবিষ্কারের সম্পূর্ণ বিষয়টি ভিডিও বন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন এই অভিযাত্রীরা। তারপরে শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। আস্তিকেরা দাবি করতে থাকেন এটা কৈলাসে মহাদেবের অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ। যুক্তিবাদীদের ব্যাখ্যা আদতেও তা নয় বরফ, পাথর এবং মেঘ আলোছায়ার ফলে পাহাড়ের বুকে অনেক সময় তৈরি হয় নানা ধরনের আকৃতি । যেটিকে দূর থেকে দেখতে মহাদেবের হাসির মতো লাগছে আপনাদের কি মনে হয় এটা কি বড় পাথর এবং মেঘের ফলে সৃষ্টি হওয়া কিছু নাকি সত্যি সত্যি এখানে বাস করছেন মহাদেব।