দেবাদিবে মহাদেব যিনি হলেন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সংহার কর্তা।মহাদেবের পুত্র হিসাবে দুটো পুত্রকে আমরা জানি যারা হলে কার্তিক এবং গণেশ।এবং কার্তিক ও গণেশ শিব এবং পার্বতীর পুত্র।কিন্তু শিবের এই দুটি পুত্র ছাড়া আরও চারটি পুত্র ছিল তবে এরা দেবী পার্বতীর পুত্র ছিলেন না।তাহলে এরা কারা এই নিয়ে মনে প্রশ্ন উঠাটায় স্বাভাবিক।কারন শিবের দুটি পুত্রের কথা সবাই জানেন কিন্তু শিবের বাকি চারটি পুত্রে কথা অনেকেই জানেন না।তাহলে জেনে নিন শিবের এই চারটি পুত্রের সম্পর্কে।
আয়াপ্পা— সমুদ্রমন্থনের পর অমৃত অসুরদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বিষ্ণু মোহিনীরূপ ধারণ করেছিলেন।আর বিষ্ণুর এই মোহিনীররূপের সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন শিব। এবং মোহিনীর সাথে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই তার বীর্য স্খলন হয়ে মাটিতে পরে।আর সেখান থেকেই জন্ম হয় আয়াপ্পার ।এই আয়াপ্পাকে হরি ও হরের সম্মিলিত রূপ বলে মনে করা হয়।
অন্ধক— দানবদের রাজ হিরণ্যাক্ষের পুত্র ছিলেন না। তাই তিনি পুত্রলাভের আশায় দেবাদিব মহাদেবের তপস্যা করেন।তারপর হিরণ্যাক্ষের তপস্যা সন্তুষ্ট হয়ে শিব তাকে বর স্বরূপ এক পুত্রসন্তান প্রদান করেন।আর সেই পুত্রটি হলেন অন্ধক।তবে পরে অন্ধক পার্বতীকে অনৈতিকভাবে অধিকার করতে চাইলে স্বয়ং শিবই তাকে হত্যা করেন।
ভৌম— শিবের আরেকটি পুত্র হলেন ভৌম।এই পুত্রটির জন্ম হয়েছিল শিবের স্বেদবিন্দু ভূমিতে পড়ে।তখন শিব গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন।আর তাই তখন ভূমিদেবীই ভৌমকে পালন করেন।এবং পরে শিব ভৌমের কথা জানতে পারেন এবং তাকে পুত্র হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
খুজ— শিবের অন্য আরেকটি পুত্র হলেন খুজ।শিবের এই পুত্রটির জন্ম হয়েছিল শিবের জ্যোতি থেকে।শিব একবার গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন তখন তার দেহ থেকে তীব্র জ্যোতি বিকীর্ণ হতে থাকে।এবং সেই জ্যোতি ভূমিতে প্রবিষ্ট হলে এখান থেকেই জন্ম হয় খুজের।শিবের এই পুত্রকে লৌহের দেবতা বলে মনে করা হয়।