নিউজ ডেস্কঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পায়ে যে নুপুর দুটি পরতে দেখা যায় সেই দুটি পায়ের নুপুর ছোট বড় হয়।কিন্তু কেন এই রকম জানেন কি আপনারা? শ্রীকৃষ্ণ পায়ে এই রকম ছোট বড় নুপুর পড়ার পিছনের পুরান কি বলছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক এর আসল কারনটি।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, শ্রী রামচন্দ্র সীতা কে হারানোর পর ধনুকটি মাটিতে রেখে সাধারণ মানুষের মতো কাঁদছেন। হঠাৎ তার ভাই লক্ষণ দেখতে পেলেন রামচন্দ্রের চোখের জল মাটিতে পড়ছে কিন্তু সেখানে তার চোখের জল নয় সেটা রক্ত স্বরূপ। লক্ষণ যখন তার ভাই রামচন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করলেন ভাই একি আপনি কাঁদছেন অথচ মাটিতে রক্ত দেখা যাচ্ছে। তখন রামচন্দ্র ধনুকটি সরিয়ে দেখেন একটি ব্যাংক ধনুকের নিচে চাপা পড়ে গেছে এবং সেখানেই সেই ব্যাঙের রক্ত দেখা যাচ্ছে। তখন রামচন্দ্র ব্যাংকটিকে হাতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে ব্যাংক তোমাকে সাপ যখন খাবার ভেবে খেতে আসে তখন তো তুমি চিৎকার করো তাহলে এখন কেন এরকম চুপ করে রইলে? তখন ব্যাংক উত্তরে বলল প্রভু তখন আমি চিৎকার করে তোমার কাছে নালিশ জানাই আর এখন তো তুমি স্বয়ং প্রভু তাহলে আমি কার কাছে নালিশ জানাব। তখন রামচন্দ্র বললেন তুমি পূর্ব জন্মে কি ছিলে? তখন ব্যাংক উত্তরে বলল আমি ছিলাম কর্ণ আর আমার গুরুদেব ছিলেন বিশ্বাবসু। গুরুর চরণে সেবা করতে গিয়ে একদিন নখের আচর লেগেছিল তখন গুরুদেব আমায় অভিশাপ দিয়েছিলেন আমি পরজন্মে ব্যাংক কুলে জন্ম নেব। গুরুদেব অভিশাপ তো দিলেন এবার তিনি আশীর্বাদটুকু দেয়। তখন আশীর্বাদ দিয়েছিলেন আমার মরণ প্রভু রামচন্দ্রের হাতেই হবে। তখন সবকিছু শ্রবণ করার পর রামচন্দ্র ব্যাংক থেকে বললেন তাহলে তোমার শেষ ইচ্ছাটি কি? তখন ব্যাংকটি বলল আমার শেষ ইচ্ছা আমার গুরু যেন অন্তিমকালে আপনার শ্রী চরণে ঠাঁই পায়। তখন রামচন্দ্র ব্যাংকটিকে বলেছিলেন তাহলে শোনো আমি যখন পরের যুগে আবার আসব শ্রীকৃষ্ণ হয়ে তখন তুমি থাকবে আমার ডান পায়ের নুপুর আর তোমার গুরুদেব বিশ্বাবসু হবেন আমার বাম পায়ে নুপুর। তবে দুজন ছোট বড় হয়ে আমার পায়ের নুপুর হয়ে থাকবে এই কারণে শ্রীকৃষ্ণের পায়ের নুপুর ছোট-বড়।