নিউজ ডেস্কঃ মন্দোদরীর কথা তো আমাদের সবারই মনে আছে। তিনি রামায়নের মুখ্য চরিত্র না হলেও তার গুরুত্ব কিন্তু কম ছিল না।তিনি একজন পবিত্র, ধার্মিক এবং সুন্দরী নারী ছিলেন।ধার্মিক হওয়ার কারনে মন্দোদরী তার স্বামী লঙ্কার অধীশ্বর রাবনকে সৎ পথে চলার উপদেশই দিতেন। এমনকি যখন রাবন সীতাকে অপহরন করে নিয়ে আসেছিলেন তখন সীতাকে রামের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন রাবণকে। এত পর্যন্ত মন্দোদরী উল্লেখ্য পাওয়া যায়। কিন্তু রাবনের মৃত্যুর পর মন্দোদরী চরিত্রটি যেন অবছা হয়ে গেছিল সবার কাছ থেকে। রাবনের মৃত্যুর পর মন্দোদরীর কী হল? এই প্রশ্নটা বেশিরভাগ মানুষের কাছে অজানা।
রাবন সীতাকে অপহরন করে নিয়ে আসলে মন্দোদরী সীতাকে রামের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন রাবনের।কারন তিনি জানতেন যে দৈববাণী অনুসারে একদিন রামের হাতে মৃত্যু হবে।তবে রাবন তার স্ত্রীর অনুরোধে রাজি হন না।যেহেতু মন্দোদরী একজন ধার্মিক নারী ছিলেন তাই তিনি তার স্ত্রী হওয়ার সমস্ত কর্তব্য পালন করে গিয়েছে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন নয় এটা জেনেও তিনি তার স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
তারপর রাম রাবনের যুদ্ধে রামের হাতে রাবনের মৃত্যুর পর রাম লঙ্কাররাজ সিংহাসনে দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিভীষণকে।বিভীষণের উপর লঙ্কা সামলানোর সমস্ত দায়ভার দেওয়ার পর মন্দোদরীকে বিয়ে করতে বললেন।অন্যদিকে আবার রাম মন্দোদরীকে তার প্রকৃত স্ত্রীর কর্তব্য কেমন হওয়া উচিৎ সে ব্যাপারেও স্মরণ করিয়ে দিলেন। তারপর রাম সীতাকে নিয়ে চলে গেলেন। তারপর মন্দোদরী বাইরের জগতের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। তার কিছুদিন পড়ে লঙ্কা যাতে ঠিক দিশা পায় তার কারনে মন্দোদরী লঙ্কায় ফিরে মনস্থ করলেন বিভীষণকে বিয়ে করার জন্য। তবে বিভিন্ন মতামতে প্রচলন রয়েছে মন্দোদরীকে নিয়ে।