রান্না করা খাবার কিংবা সাল্যাডের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও পুদিনা পাতার ব্যবহার বেশ প্রচলিত। সিঙ্গারা, পাকোড়া,পুরিসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের সঙ্গে পুদিনা পাতার চাটনি খাওয়া হয়। আর এদিকে ত্বক ভালো রাখতেও যে পুদিনা পাতা কার্যকরী, সেকথা কি আপনারা জানেন? এই যে অনেকেই ভেষজ ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করেন তাতেও কিন্তু থাকে পুদিনা পাতার রস।
ত্বকের নানা সমস্যা নিয়ে প্রায় সবাই ভোগেন। ব্ল্যাকহেডস,ব্রণ, ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। এসব ক্ষেত্রে সাহায্যে আসতে পারে হাতের কাছে থাকা পুদিনা পাতা। উপকারী এই ভেষজের সাহায্যে খুব সহজেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
- ব্রন কমাতে সাহায্য করে:
পুদিনা পাতায় রয়েছে স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। এসব উপাদানগুলি ত্বকে সিবাম অয়েল নিঃসরণ বন্ধ করে। ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে ব্রণ বেশি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। পুদিনা পাতা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। ফলে এটি প্রদাহ রোধ করার পাশাপাশি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।সেজন্য প্রথমে পুদিনা পাতার পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
এরপর সেই পেস্ট ব্রণের উপরে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর, শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ব্রণের দাগ দূর হবে, পরিষ্কার থাকবে লোমকূপও।
- ক্ষত নিরাময় করে:
পুদিনা পাতা ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের মশার কামড়,কাটা-ছেঁড়া,ক্ষত, চুলকানি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য প্রথমে পুদিনা পাতার রস বের করে নিতে হবে।
তারপর, সেই রসটুকু আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে ক্ষত সেরে ওঠার পাশাপাশি ত্বকের জ্বালা ভাবও দূর হবে।
- ত্বককে আর্দ্র ও কোমল রাখে:
ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র ও কোমল রাখতে পুদিনা পাতা কার্যকরী। এটি মাইল্ড অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই কোমল হয়ে ওঠে। পুদিনা পাতার ব্যবহারে ত্বকের ছিদ্র থেকে ময়লা বের হয়ে যায়। এতে ত্বক আরও সতেজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতেও কার্যকরী।
প্রথমে, পুদিনা পাতা পেস্ট করে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।